• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

কোমরের ব্যথায় ভুগছেন? মুক্তি মিলবে পাঁচ উপায়ে

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৫ মে ২০২০  

ব্যথায় ভোগেননি এমন মানুষ খুব কমই আছে। কোমর, পিঠ, মাথা, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে প্রায়ই ব্যথা হয়ে থাকে। তবে কমর ব্যথা খুবই কষ্টদায়ক হয়ে থাকে। যদিও অন্যান্য অংশের ব্যথাও যন্ত্রণাদায়ক হয়।

তবে সাধারণ বিষয় ছাড়া বিশেষ কোনো রোগের কারণে কোমরে বা ঘাড়ে ব্যথা হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে একবার হলেও ডাক্তার দেখানো জরুরি। অধিকাংশ ফিজিওথেরাপিস্টই মনে করেন যে, বসা বা হাঁটার সময় শিরদাঁড়া সোজা না রাখাই এর মূল কারণ। এক্ষেত্রে স্কুলব্যাগের প্রবল ভার ও সারাদিন বসে কাজ করা এই সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তোলে। 

কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক কোমর ব্যথা দূর করার উপায়- 

শিরদাঁড়া সোজা রাখুন

ঘাড় গুঁজে মোবাইল দেখা বা গেমস খেলা থেকে বিরত থাকুন। শিরদাঁড়া সোজা রেখে কাঁধটা একটু পেছনে টেনে বসুন। পেটটা টেনে রাখুন ভেতরের দিকে। হাঁটার সময়েও এমনভাবে হাঁটবেন যেন পিঠ টানটান থাকে। পশ্চার যত খারাপ হবে, তত কম পুষ্টি পাবে আপনার মাসল, রক্ত সংবহন যথাযথ হবে না। অক্সিজেনের ঘাটতি ভোগাবে প্রতিটি পেশিকে। এর ফলে ক্রমশ প্রভাবিত হবে আপনার মেরুদণ্ড।

সারাদিন বসে কাজ করেন? কাজের মধ্যে বিরতি নিন

কর্মরত মানুষদের অফিসে সারাদিনই বসে কাজ করতে হয়। যাদের এমন টানা বসে কাজ করতে হয়, তারা মাঝেমধ্যে অবশ্যই ব্রেক নেবেন। ঘণ্টা দুয়েক কাজ করার পর ১০ মিনিটের বিরতিতে একটু পায়চারি করে নিন। তাছাড়া ফোনে কথা বলার সময় সিটে বসে না থেকে হেঁটে হেঁটে কথা বলুন। মাঝেমধ্যে পশ্চার বদলালে শরীরের রক্ত চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

ভারী ব্যাগ সাবধানে বহন করুন

ভারী ব্যাগ বা জিনিসপত্র তুলবেন না। তাতে ব্যথা পাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। পিঠে স্কুলব্যাগ নিয়ে বাচ্চারা অনেক সময় সামনের দিকে বিচ্ছিরিভাবে ঝুঁকে থাকে, সেটাও ঠিক নয়। সতর্ক থাকবেন কনভেয়ার বেল্ট থেকে লাগেজ তোলা বা প্লেনের ওভারহেড কেবিন বা ট্রেনের মালপত্র রাখার তাকে ভারী ব্যাগ রাখার সময়। তাড়াহুড়োয় এসব কাজ করার সময় পিঠে-কোমরে যেন টান না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখুন। 

সঠিক বালিশ ব্যবহার করুন

শোওয়ার সময় এমন কোনো বালিশ ব্যবহার করুন যাতে আপনার কাঁধ, ঘাড়, পিঠ সব কিছু সঠিক সাপোর্ট পায়। বালিশে মাথা দেয়া মাত্র যদি সেটা গড়িয়ে যায়, তাহলে এখনই তা বাতিল করুন। বালিশের উচ্চতা এমন হবে যাতে মেরুদণ্ড ঘাড়ের সঙ্গে এক লাইনে থাকে।

অহেতুক সারভাইকাল বা ব্যাককলার পরবেন না

কোনো আঘাত লাগলে সারভাইকাল বা ব্যাককলার পরার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। অনেকে ভাবেন, কলার পরে থাকলে বুঝি ঘাড় বা কোমর সুরক্ষিত থাকবে, তাই দীর্ঘসময় তা ব্যবহার করাটাই তাদের অভ্যেসে পরিণত হয়। তার ফলে পেশি দুর্বল হয়ে যায়, কমতে থাকে গাঁটগুলোর নমনীয়তা।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা