• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

করোনার কারণে শহরেও চালু হবে ‘ওএমএস’

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২০  

বিশ্বজুড়ে আতংক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে। এর ভয়াবহতার কারণে দেশের সাধারণ মানুষের আয়ের পথ এখন অনেকটাই সংকুচিত।

ইতোমধ্যে ব্যবসা-বানিজ্যে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় সরকার গ্রামীণ জনগোষ্ঠির পাশাপাশি শহরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্যও ‘ওএমএস’ চালুর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন। ওএমএস-এ দেয়া হবে ১০ টাকা কেজিতে চাল।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে শহর এলাকায় বসবাসরত গরীব প্রান্তিক জনগোষ্ঠির ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য তাদের মাঝে ব্যাপকভাবে ‘ওএমএস’ চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকার মত শহর এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মাঝেও ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হতে পারে। একটি পরিবার সপ্তাহে সর্ব্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল পাবেন।  এ বিষয়ে একটি  কৌশল ঠিক করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিকখাতের ওপর করোনার প্রভাব কী হতে পারে তা নির্ণয়ে আমরা প্রাথমিক কাজ শুরু করে দিয়েছি।  এই ভাইরাস থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্যখাতকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে যত টাকা প্রয়োজন আমরা ছাড় করতে প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের বলতে হবে এই টাকা কোন কোন খাতে ব্যবহার করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এরআগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়াও গত ১৯ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসার সরঞ্জামাদি ক্রয়ের জন্য ১০০ কোটি এবং চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ১০০ কোটিসহ মোট  আড়াই শত কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় তৈরি।’

করোনার কারণে ইতোমধ্যে অর্থনৈতিকখাতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। শহর এলাকায় বাণিজ্যিক কর্মকান্ড অনেক কমে গেছে। এই কর্মকান্ড কমে যাবার কারণে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়বে স্বল্প আয়ের দরিদ্র মানুষ। এই সব লোক কেউ রাস্তায় বসে পণ্য বিক্রি করে, কেউবা রিকশা চালায়। কেউ দিন মজুর। যাদের অধিকাংশের বসবাস আবার বস্তি এলাকায়। করোনাভাইরাসের কারণে এই সব মানুষ কিছু দিনের মধ্যে বেকার হয়ে যাবে। আবার কারো আয় কমে যাবে। তাই এই সব মানুষদের রক্ষার জন্য ব্যাপক পরিসরে ওএমএস চালু করার চিন্তা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বর্তমানে গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ৫০ লাখ মানুষকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হচ্ছে। এখন শহর এলাকায় একই ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারের গোডাউনে বর্তমানে ১৭লাখ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। এছাড়াও বিদেশ থেকে আরো গম আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সীমিত সময়ের জন্য হলেও শহরের গরীব লোকদের ১০ কেজি দরে চাল দেয়া হবে।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা