• বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

করোনায় মৃত্যু হলে নির্দেশনা অনুযায়ী দাফন : স্বাস্থ্য মহাপরিচালক

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২০  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, যাদের করোনা ভাইরাস (কােভিড-১৯) পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে তাদের মৃত্যুর পর দাফন করা হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী। আমরা যে গাইডলাইন তৈরি করেছি তার দাফন করা হবে সেই গাইডলাইন অনুসরণ করে।  তিনি বলেন,  আর করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে যারা বিভিন্ন রোগে মারা গেছেন, যাদের করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে তাদের সাধারণ মৃত্যু। তাদের সাধারণভাবেই দাফন করা হবে।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিক রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস মিলনায়তনে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনা রোগটা কোনো অচ্ছুৎ রোগ নয়। তার শরীরে ভাইরাস ঢুকেছে। এ ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিতে পারে, নাও দিতে পারে। তিনি সুস্থ হয়ে যেতে পারেন। কাজেই এটা এমন কোনো বিষয় না।

তিনি বলেন, পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, অথবা যে কেউ যদি মারা যান তখন একটা শোকের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আমরা এটা মানতে পারি না। এ মুহূর্তে আমরা যদি সৎকার করতে বাধার সৃষ্টি করি অথবা ওই ধরনের অপবাদ দেই। সেটা ঠিক নয়। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবেই ২ হাজার ৫০০ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুর মধ্যে ৬৫ থেকে ৭০ ভাগ মৃত্যু হয় অসংক্রামকজনিত রোগে। পাশাপাশি অনেক জটিলতা, সড়ক দুর্ঘটনা, মাতৃত্বজনিত সমস্যা, শিশুদের শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যায় মৃত্যু হয়। ২৪ ভাগ মানুষের বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়। অনেক মানুষের মৃত্যু এখনই এ কারণেই হচ্ছে। হঠাৎ করে করোনার জন্য মৃত্যু সংখ্যা বাড়েনি। 

তিনি বলেন, আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ আছে। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছি। বেশি বেশি পরীক্ষা করলে করোনা সম্পর্কে ভালো ধারণা হবে।

ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ কথা সত্য, হঠাৎ করে করোনার কারণে আমাদের মৃত্যু ৩‌ হাজার বা ৪ হাজারে বৃদ্ধি পায়নি। এ জিনিসটা আমরা খতিয়ে দেখছি। কাজেই সাধারণ মানুষকে একটা জিনিস বলবো, যেকোনো ধরনের মৃত্যু, করোনাজনিত মৃত্যু নয়। আমরা যেহেতু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাচ্ছি, আমরা চেষ্টা করবো। যাদের সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের যত দ্রুত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। আমাদের ডাক্তাররা বােঝেন কোনটা করোনা হতে পারে। কোনটা করোনা হাতে পারে না।‌ চিকিৎসকরা যেটা বলবেন সেটা সাধারণ মানুষ যেন বিশ্বাস করেন।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা