• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

আসবে ৫-জি, কমানো হবে ইন্টারনেটের খরচ : শেখ হাসিনা

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮  

আবার ক্ষমতায় এলে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ফাইভ-জি চালু করবে আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার (১৮ডিসেম্বর সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে ইশতেহার প্রকাশ করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ে দলের ইশতেহার তুলে ধরেন।ইশতেহারে বলা হয়েছে, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ফাইভ-জি চালু করা হবে। এ ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিএক্স, বিগ ডাটা, ব্লক চেইন, আইওটি-সহ ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এবং সাবমেরিন ক্যাবল-৩ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পরবর্তী সময় সরকার গঠন করলে ই-পাসপোর্ট, ই-ভিসা চালু, শিক্ষাকে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরের সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ ও আর্থিক খাতের লেনদেনকে ডিজিটাল করা হবে। এ ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তির সফটওয়্যার, সেবা ও ডিজিটাল যন্ত্রের রফতানি ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারের মূল্য যুক্তিসংগত পর্যায়ে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে ইশতেহারে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে নিরক্ষরতার অভিশাপমুক্ত করা হবে। প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার শূন্যে নামিয়ে আনা হবে। গত এক দশকে প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ঝরে পড়ার হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। এ ছাড়াও শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগের একমাত্র মানদণ্ড হবে মেধা, যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা।আমার গ্রাম, আমার শহর’ শিরোনামে গ্রামভিত্তিক উন্নয়ন তথা গ্রামে আধুনিক সুবিধার উপস্থিতি, শিল্প উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন ও সুরক্ষা, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষাসহ অন্যান্য খাতে থাকছে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। ইশতেহারে ২১টি অঙ্গীকার উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো-

*আমার গ্রাম, আমার শহর- প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ। *তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি: তরুণ যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তিকে রূপান্তরিত করা এবং কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা। *দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ। * নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও শিশুকল্যাণ। *পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা। *সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূল। *মেগা প্রজেক্টগুলোর দ্রুত ও মানসম্মত বাস্তবায়ন। *গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা। *দারিদ্র্য নির্মূল। *সকল স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি। *সকলের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা। *সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার। *বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা। *আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা- লক্ষ্য যান্ত্রিকিকরণ। *দক্ষ ও সেবামুখী জনপ্রশাসন। জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। *ব্লু ইকোনোমি- সমুদ্র সম্পদ উন্নয়ন। *নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা। *প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ও অটিজম কল্যাণ। টেকসই উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা