• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

আশাশুনিতে প্রবাসীদের কোয়ারেন্টিন সিল ও লাল নিশান চিহ্নিতকরণ

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২০  

হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে আশাশুনিতে বিদেশ ফেরত সকল ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন সিল ও লাল নিশান দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে বিদেশ ফেরত ৮শ’ ৩০ জন প্রবাসীরা হোম কোয়ারেন্টাইন মানছে কি না সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন তা তদারকি করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সকালে আশাশুনির আনুলিয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা, থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান বিদেশ থেকে ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ান্টাইন নিশ্চিত করতে তাদের বাড়িতে লাল নিশান টাঙিয়ে দেয়।

এছাড়া প্রত্যেকটি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশদের সাথে নিয়ে বিদেশ ফেরত ৮শ’ ৩০ জন ব্যক্তির বাড়িতে পর্যায়ক্রমে লাল নিশান টাঙিয়ে দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন হাসপাতালে আসা রোগীদের করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা স্বাস্থ্য কর্মী ও ইউনিয়ন তদারকি কমিটিদের হোম কোয়ারেন্টাইন তদারকি করে অবহিত করতে বলেছেন।

যেসব কর্মীরা দায়িত্বে অবহেলা করবেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানানো হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বেশি দামে কিনে কীভাবে কম দামে বেচব? এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে ব্যবসায়ীরা মূল্যবৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। এদিকে করোনা ভাইরাসের সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় মূল্যের দাম বৃদ্ধি করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা উপজেলার প্রতিটি বাজার মনিটরিং করছেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা জরিমানা করে চলেছেন।

কিন্তু এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা পুনরায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে রেখেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা জানান, ‘চাউল, তেল, পেঁয়াজ, আলুসহ সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ আছে। কেউ করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে’।দুপুরে আনুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় নিজ বাড়িতে ইটের পাঁজা পোড়ানোয় বল্লভপুর গ্রামের হাবল দাশের দুই ছেলে রঞ্জন ও তপন দাশকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা