• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

অবহেলা নয়, জানুন পেটব্যথা যেসব মারাত্মক রোগের লক্ষণ

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০  

শরীরে যতগুলো অসুখ বা অস্বস্থি হয় তার মধ্যে পেট ব্যথা অন্যতম। প্রায় সময়েই দেখা যায় অনেকেই পেটব্যথায় ভুগে থাকেন। মোটকথা পেটব্যথায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর।

পেটব্যথা হলে অনেকেই অবহেলা করে থাকেন। যা মোটেও ঠিক নয়। পেটের ব্যথারও রকম ফের আছে। সব ব্যথা এক জায়গাও হয় না। ব্যথার ধরন বা তীব্রতাতেও তারতম্য থাকে। পেটের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় এবং ব্যথার মাত্রার উপর নির্ভর করে বলে দেয়া সম্ভব এ ব্যথা পেটের কোন রোগের উপসর্গ। তাই এই পার্থক্যগুলো বুঝে কীভাবে নিজে থেকেই রোগ আন্দাজ করা যায় তা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-  

বুক জ্বলা (পেটের মাঝ বরাবর জ্বালাপোড়ার অনুভূতি)

তেলমশলা, চর্বিযুক্ত খাবার অনেক পরিমাণে খাওয়ার পরে এটা খুব চেনা একটা ব্যথা। সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিমাসে অন্তত ৬০ মিলিয়ন আমেরিকান অন্তত একবার এই অসুখে ভুগেন। বুক জ্বলার সঙ্গে যোগ হয় মুখে তিতা স্বাদ ও টক স্বাদের ঢেকুর। এ রোগের কারণ হচ্ছে খাদ্য পরিপাকের জন্য পাকস্থলীতে এক ধরনের অ্যাসিড থাকে। যা পাকস্থলীতে থাকা খাদ্যের সঙ্গে মিশে হজম করে। অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে পরিপাকের সময় কিছু খাদ্যাংশ বা অম্লীয় তরল খাদ্য নালিতে চলে আসে এবং জ্বালাপোড়ার অনুভূতি সৃষ্টি করে।

মাঝে মধ্যে এমন হলে ভয়ের কিছু নেই তবে নিয়মিত সব ধরনের খাবার খেলেই যদি এভাবে বুক জ্বালাপোড়া করে তবে এটা একটি অসুখের কারণ। যা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করা প্রয়োজন।

পিত্তে পাথর (নাভির চারপাশে অস্বস্থি)

নাভির চারপাশে পেটে ব্যথার সঙ্গে যদি ঘাড়েও অল্প ব্যথার অনুভূতি হয় এবং বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পরে হয়, তবে এর কারণ হতে পারে পিত্তে গড়ে ওঠা পাথর।

চল্লিশের বেশি বয়সি নারী যারা একবার হলেও সন্তান ধারণ করেছেন তাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। গর্ভাবস্থায় ইস্ট্রোজেন নামক হরমোনের প্রভাবে পিত্ত থলিতে ছোট একটা পাথর জমাট বাঁধতে পারে। এ পাথর বছরের পর বছর পিত্তে কোনো অস্বস্থি ছাড়াই বসবাস করতে পারে। তবে কোনোভাবে যদি

আলসার (পেটে ক্ষীণ ব্যথা, জ্বালা পোড়া যা অ্যান্টাসিড খেলে কম হয়)

অ্যান্টাসিড খেলে বুকের জ্বালাপোড়া কমলে নিঃসন্দেহে এটা পেপটিক আলসারের ব্যথা। এই ব্যথার সঙ্গে যদি বমি ভাব হয়, ক্ষুধা মন্দা হয় এবং ওজন কমে যেতে থাকে তবে এটি পেপটিক আলসার না হয়ে যায়ই না। পেপটিক আলসারের কারণ হচ্ছে ক্ষুদ্রান্ত্রের উপরের আস্তরণে ঘা।

সাধারণত ধারণা করা হয় এই ঘায়ের কারণ কাজের চাপ বা মানসিক চাপ। তবে বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে দেখেছেন পেপটিক আলসার দুটি কারণে হতে পারে। প্রথমত একটি ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে এবং দ্বিতীয়ত নন স্টেরিওডিক অ্যান্টি ইন-ফ্লামাটরি ড্রাগ যাদের সাধারণ ভাষায় এনএসএআইডি (NSAIDs) নামে ডাকা হয়। অ্যাসপিরিন, ইবুফ্রেন এই ধরনের ওষুধ।

রক্তে আলসারের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত কি-না তা নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করলেই কেবল নিশ্চিত হওয়া যায়।

অ্যাপেন্ডিসাইটিস (পেট নিচের ডান পাশ তীক্ষ্ম ব্যথা)

পেটব্যথা এই ধরনের অ্যাপেন্ডিসাইটিসের প্রভাবে হতে পারে, বিশেষত যদি সঙ্গে গা গরম ভাব থাকে, পেট থেকে বায়ু নির্গম করতে কষ্ট হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য বোধ বা ডায়রিয়া হয়, তবে অবশ্যই তা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ। অ্যাপেন্ডিসাইটিস থাকলে, হাঁচি-কাশি দিলেও পেটে ব্যথা হতে পারে।

অ্যাপেন্ডিক্স, বৃহদান্ত্রের একটি উপাঙ্গ। এই উপাঙ্গে যদি সংক্রমণ ঘটে এবং জ্বালা পোড়া করে ও পুঁজ হয় তবে এই সমস্যা দেখা যায়। আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ মতে, অধিকাংশ মার্কিনির পেটের অপারেশনের প্রধান কারণ অ্যাপেন্ডিসাইটিস। এ ব্যথা অনুভূত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার এবং ফেটে যাওয়ার আগে অপসারণ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা