প্রিয়জনকে হারানোর ব্যথায় নবীজি যেভাবে কেঁদেছিলেন
আজকের সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নবীজি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের বাণী বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে পুরো জীবন কষ্ট করেছিলেন। ইসলামের শত্রুদের দেওয়া কষ্ট পেয়েছিন তিনি পদেপদে। এর পাশাপাশি প্রিয়জনকে হারানোর বেদনাও ছিলো তার জীবনে।
জন্মের আগেই হারিয়েছিলেন বাবাকে। এরপর মাত্র ছয় বছর বয়সে মা ও আট বছর বয়সে হারিয়েছিলেন আপন দাদাকে। দাদার মৃত্যুর পর কৈশোর,তারুণ্য, যৌবনে তাকে আগলে রাখা প্রিয় চাচা আবু তালেবকেও হারান তিনি। চাচা আবু তালেবকে হারানো বছরই তাকে ছেড়ে যান প্রিয় সহধর্মীনী খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
এছাড়াও জীবদ্দশায় নবীজিকে সইতে হয়েছে দুধ মা হালিমা, নিজের প্রিয় কন্যা, ছেলে, চাচা হামজা ও অনেক প্রিয় সাহাবিকে হারানোর শোক।
মানুষ হিসেবে প্রিয়জনকে হারানোর ব্যথা তাকেও কাতর করতো, শোকে অশ্রু গড়াতো তার চোখ দিয়ে। আপনজনকে হারানোর ব্যথায় চোখ দিয়ে অশ্রু গড়ানোর অনুমোদন ইসলামে দেওয়া হয়েছে। তবে বিলাপ করে কান্নাকাটির অনুমোদন নেই ইসলামে।
মাকে হারিয়ে কান্না
নবীজি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মা আমেনাকে হারান একেবারে শিশুকালে। মদীনা থেকে বাবার করব জিয়ারত করে ফেরার পথে এক রাতে আবওয়া নামক স্থানে তিনি তার মাকে হারান। নির্জন মরুভূতি মাকে হারিয়ে কেঁদে উঠেন শিশু মুহাম্মদ।
নবীজির মাকে আবওয়ায় দাফন করে কাফেলা মক্কায় ফেরার পথে যখন উম্মে আয়মান প্রিয় নবীর হাত ধরে মক্কার দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি বারবার পেছনে ফিরে তাকাচ্ছিলেন, বারবার ছুটে যেতে চাইছিলেন মায়ের কবরের কাছে। (সিরাত ইবনে হিশাম : ১/১৬৭)
মায়ের কবর জিয়ারতের সময় নবীজির কান্না
শৈশবে মাকে হারানোর পর হিজরতের কয়েক বছর পর একবার সেই পথ দিয়ে সাহাবিদের নিয়ে যাচ্ছিলেন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সাহাবিদের সেখানে অবস্থানের নির্দেশ দিয়ে তিনি মায়ের কবর পানে গিয়ে অঝোরে কাঁদতে লাগলেন। দীর্ঘক্ষণ মোনাজাত করে কাঁদলেন।
উপস্থিত সাহাবিরাও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ অবস্থা দেখে কান্না সংবরণ করতে পারলেন না। তারাও কাঁদলেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক, হাদিস : ৩২৯২)
দাদার মৃত্যুতে নবীজির কান্না
উম্মে আয়মান বলেন, মায়ের মৃতূর পর নবীজিকে দেখাশোনা, লালন-পালন করতেন দাদা আব্দুল মোত্তালিব। কিন্তু মাত্র আট বছর বয়সে দাদা আব্দুল মোত্তালিব মারা যান। দাদার মৃত্যুর পর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দাদার মাথার কাছে বসে কান্না করেন।
দুধ মা হালিমার মৃত্যুতে নবীজির কান্না
মক্কা বিজয়ের সময় নবীজির দুধ মা হালিমার বোন এসে নবীজিকে মা হালিমার ইন্তেকালের খবর দেন। মা হালিমার ইন্তেকালের খবরে নবীজির দুচোখ অশ্রুতে পূর্ণ হয়ে যায়। তিনি তার দুধ খালাকে কিছু কাপড়-চোপড়, সওয়ারীর জন্য উট এবং নগদ দুইশত দিরহাম দিয়ে বিদায় করেন।
ছেলের মৃত্যুতে নবীজির কান্না
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছেলে ইবরাহিমের (রা.) মৃত্যুর পর তিনি তাঁর নিষ্প্রাণ দেহ কোলে নিয়ে পিতৃস্নেহে কেঁদে ওঠেন। তখন সাহাবি হজরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) নবী কারিম (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কাঁদছেন? আপনি তো কাঁদতে নিষেধ করেছেন? উত্তরে তিনি বললেন, ‘না, অনিচ্ছাকৃত স্বাভাবিক কান্নাকে আমি নিষেধ করিনি। বরং দুই ধরনের কান্নাকে আমি নিষেধ করেছি এক. সৃষ্টিকর্তার প্রতি অভিযোগ করে কান্না করা; দুই. বিলাপ করে কান্না করা। মূলত চিত্কার করে, ইনিয়ে-বিনিয়ে, বুক চাপড়ে কাঁদা, মাতম করা এবং জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলা ইসলামের পদ্ধতি নয়। এগুলো জাহিলি যুগের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি। -(মুসলিম, ১৭ মিশকাত, ২৭)
মেয়ের মৃত্যুতে নবীজির কান্না
আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘মহানবী (সা.)-এর কন্যা উম্মে কুলসুম ইন্তেকাল করার পর, তার কবরের পাশে বসে ছিলেন, তখন তাঁর চোখ মোবারক থেকে অশ্রু ঝরছিল।’ (শামায়েলে তিরমিজি : ৩১২/৬)
প্রিয় সাহাবির মৃত্যুতে নবীজির কান্না
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, ‘উসমান ইবনে মাজউন (রা.)-এর মৃত্যুর পর মহানবী (সা.) তাঁর ললাটে চুম্বন করেন। তখন মহানবী (সা.)-এর চোখ থেকে অশ্রু ঝরছিল।’ (শামায়েলে তিরমিজি : ৩১১/৫)
চাচা হামজার শাহাদাতে নবীজির কান্না
হামজা (রা.) ছিলেন রাসুল (সা.)-এর চাচা। রাসুল (সা.)-এর নবুয়তপ্রাপ্তির দ্বিতীয় বছর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। বয়সের দিক থেকে রাসুল (সা.)-এর থেকে দুই বছর, মতান্তরে চার বছরের বড়। হামজা (রা.) ছিলেন মক্কার প্রতাপশালী বীর। তার ইসলাম গ্রহণের সংবাদ যখন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে, তখন কাফিরদের মনোবল অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে।
উহুদ যুদ্ধে মক্কার কাফেরেরা তাকে মর্মান্তিকভাবে শহীদ করে। কাফিররা হামজা (রা.)-কে শহীদ করেই ক্ষান্ত হয়নি; বরং তার লাশের সঙ্গে নির্মম আচরণও করে। আবু সুফিয়ান (রা.)-এর স্ত্রী হিন্দাহ বিনতে উতবা (রা.) (তখন তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়জন অমুসলিম; মক্কা বিজয়ের পর তারা মুসলমান হন) নাক-কান কেটে তার চেহারাকে বিকৃত করে। বুক-পেট চিরে কলিজা বের করে। ক্ষোভে-ক্রোধে দাঁত দিয়ে চিবিয়ে ফেলে।
যুদ্ধ শেষে রাসুল (সা.) শহীদদের লাশ দেখতে যান। নির্মমভাবে শহীদ হওয়া চাচা হামজার লাশ দেখে কেঁদে ফেললেন এবং বলেন, চাচা, মহান আল্লাহ তোমার প্রতি দয়া করুন! তুমি ছিলে আত্মীয়তার বন্ধনকারী, সৎকর্মপরায়ণ। তোমার বোন সাফিয়্যা হয়তো সহ্য করবে না, না হয় আমি তোমার লাশ দাফন না করে এভাবে ফেলে রাখতাম, পশু-পাখি তোমাকে খেয়ে ফেলত, (যাতে হত্যাকারীর প্রতি আল্লাহর রাগ প্রকট হতো) আর কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের পেট থেকে তোমাকে জীবিত করতেন। এরপর দীপ্ত শপথ করে বলেন, অবশ্যই তোমার প্রতিশোধ হিসেবে আমি কাফিরদের ৭০ জনকে নাক-কান কেটে বিকৃত করব। এই শপথের কিছু সময় পরেই সুরা নাহলের ১২৬ ও ১২৭ নম্বর আয়াত নাজিল হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ করো, তবে ওই পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদের কষ্ট দেওয়া হয়। যদি সবর করো, তবে তা সবরকারীদের জন্য উত্তম। আপনি সবর করবেন। আপনার সবর তো আল্লাহরই সাহায্যে। তাদের জন্য দুঃখ করবেন না এবং তাদের চক্রান্তের কারণে মনঃক্ষুণ্ন হবেন না।’ (সুরা নাহল, আয়াত, ১২৬ ও ১২৭)
এ আয়াত নাজিল হওয়ার পর রাসুল (সা.) ইরশাদ করলেন, আমি ধৈর্য ধারণ করব। তাই করলেন, কোনো প্রতিশোধ নিলেন না। কসমের কাফফারা আদায় করলেন। (আল-ইসতিআব ১/৩৭২-৩৭৪; আল-ইসাবা ২/১০৫)

- ইথিওপিয়ার সঙ্গে সরাসরি বিমান চালুর প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- বাংলাদেশ-কাজাখস্তান ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই
- নির্বাচনে কে আসল কে না আসল সেটা দেখার বিষয় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- উদ্বিগ্ন নয় বলছে আওয়ামী লীগ, বৈশ্বিক আস্থাহীনতা দেখছে বিএনপি
- সেবা সক্ষমতা বেড়েছে ফায়ার সার্ভিসের
- তিন বিশ্ববিদ্যালয়কে ১১০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি
- খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার চায় ‘মায়ের কান্না’
- বাইরে থেকে যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় জনগণ তাদের স্যাংশন দেবে
- নতুনরূপে আসছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম
- পেনশন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে যাচ্ছে
- মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু ডিসেম্বরে
- রুপিতে লেনদেনের অনুমতি পেল আরো ২ ব্যাংক
- আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ আজ
- মানবাধিকার রক্ষার নামে যেন রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি না হয়
- রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই বাংলাদেশের অগ্রাধিকার
- সাতক্ষীরার আগরদাঁড়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন
- রাতের তিন অভ্যাস সুস্থ রাখবে দীর্ঘদিন
- ‘সুখী দেশের’ মানুষেরা কি আসলেই সুখী?
- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এঁর নলতার জনসভা সফল করা প্রস্তুতি সভা
- কালিগঞ্জ নলতা কলেজ মাঠ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক
- সরকারের উন্নয়নের বার্তা নিয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুর গণসংযোগ
- জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জিএম স্পর্শ, সম্পাদক জামিলা খানম
- স্কুল পর্যায়ে নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে নির্মিত
- সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
- ‘আমরা এখন বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি’
- বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- চিকিৎসা শেষে কাল দেশে ফিরছেন ওবায়দুল কাদের
- রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে
- কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে সেই সরকার বেশি দিন টিকবে না
- রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে বিশ্ব সম্প্রদায়কে দৃষ্টি না সরানোর আহ্বান
- সাতক্ষীরা এবং না.গঞ্জে হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- শ্যামনগরে মাদকদ্রব্য আটক সহ বিভিন্ন মামলার ৩ আসামী গ্রেফতার
- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাণ্ডারি হবে ছাত্রলীগ: প্রধানমন্ত্রী
- সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৪টি স্বর্ণের বারসহ চোরাকারবারি আটক
- ভোমরা স্থলবন্দরে ১৫ দিন ধরে ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে নির্যাতন, আটক ১
- সাতক্ষীরার গুড়পুকুরের মেলা প্রাণের মেলা আর ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন
- সাতক্ষীরায় ‘হারল্যান স্টোর’ উদ্বোধন করলেন অপু বিশ্বাস
- সাতক্ষীরা-৩ আসনে জনপ্রিয়তা ও উন্নয়নের রূপকার ডা. রুহুল হক
- ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- আশাশুনির কুড়িকাহুনিয়ায় পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
- সাতক্ষীরায় ট্রাক চাপায় উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা নিহত
- জুমার দিনটি মুমিন মুসলমানের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?
- সাগরে ভাসতে থাকা ২৩ জেলে উদ্ধার
- রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিএনপির রূপরেখা হাস্যকর: কাদের
- ‘সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ অনুমোদন
- কালিগঞ্জে পতিত জমিতে কুমড়া চাষ করে স্বাবলম্বী হতদরিদ্র নারীরা
- কালিগঞ্জ পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের রিফ্রেশমেন্ট কর্নার পরিদর্শন
- শ্যামনগরে ৫০ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার
- যুদ্ধাপরাধী মামলায় কারাবন্দি শ্যামনগরের সুরত মেম্বরের মৃত্যু
- উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প নেই
