• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

কিস্তি আদায়ে নিষেধাজ্ঞা মানছে না এনজিওগুলো

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২০  

করোনাভাইরাসের কারণে সবধরনের ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ ঘাষণা করা হলেও তা মানছেন না ভূরুঙ্গামারী উপজেলার এনজিওগুলো। মঙ্গলবার বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের মাঠকর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কিস্তির টাকা আদায় করায় জনমনে তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ। 

সরকারের নির্দেশে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এনজিও ঋণ শ্রেণিকরণ কার্যকর হবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। সেই সঙ্গে নির্ধারিত সময় শেষে কোনো প্রকার জরিমানা ছাড়াই বকেয়া কিস্তি গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু ভূরুঙ্গামারীর এনজিওগুলো এ নির্দেশনা না মেনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কিস্তির টাকা আদায় করছে। 

উপজেলার কাশিম বাজার এলাকার বাসিন্দা উপেন্দ্রনাথ বাবু অভিযোগ করে বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে দেশ যখন আতঙ্কিত সে সময় টিএমএস নামের এক এনজিও এর ম্যানেজার ও মাঠকর্মীরা  আগামী ২৮ তারিখের মাসিক কিস্তি অগ্রিম আদায়ে ব্যস্ত। একই এলাকার আর একজন ঋণগ্রহীতা শান্তণা রানী বলেন, আমার কোনো মাসের কিস্তি বাকি নাই। প্রতিমাসের ২৮ তারিখ আমি কিস্তির টাকা দিই। কিন্তু ২৮ তারিখ না আসতেই টিএমএসএস এর মাঠকর্মী কিস্তির জন্য বার বার চাপ দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আমাদের কোনো আয় নাই রোজগার নাই। তাই কিস্তির টাকা এখন কিভাবে দিই। কিন্তু তারা মানছে না।

বিষয়টি নিয়ে টিএমএমএস মাঠকর্মী ফারুক আহমেদ বলেন, ঋণগ্রহীতারা তো নিয়মিত কিস্তি পরিশোধের কমিটমেন্ট দিয়েই ঋণ নিয়েছেন। তা ছাড়া মাসিক কিস্তি পরিশোধের সময় যাদের পার হয়েছে কেবল তাদেরকেই চাপ দিচ্ছি। অগ্রিম কিস্তির চাপ দিইনি। চাপ না দেওয়ার জন্য সরকারি নির্দেশের কথা বললে তিনি বলেন, অফিস তো টাকা চাচ্ছে।

টিএমএসএস কাশিম বাজার শাখার ব্যাবস্থাপক হারুন অর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে তাই বাড়ি যাবার আগে কিস্তির টাকাগুলো ওঠানো তাদের জন্য জরুরি। তিনিও অগ্রিম কিস্তি আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এনজিও 'উদ্দীপন' ভূরুঙ্গামারী শাখার ব্যবস্থাপক আজিজুল হক বলেন, কিস্তি চালু আছে তবে চাপ দিচ্ছি না। যারা দিতে পারছেন কেবল তাদেরটাই নিচ্ছি। সরকারি নির্দেশের কথা মনে করিয়ে দেওয়ায় তিনি বলেন, আমি সকল মাঠকর্মীদের ডেকে পাঠাচ্ছি।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলামকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ করতে বলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা