• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২০  

লালমনিরহাট পৌরসভার উত্তর সাপটানা সখের বাজার সংলগ্ন কুমেরপাড়া নাওডারা খালে নির্মিত বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ১১ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এসব গ্রামের আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহী সাঁকো থেকে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তাই এলাকাবাসীর দাবি এখানে দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ করা হোক।

২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় কালভার্টটি ধরলা নদীর পানির তোড়ে ভেঙে যায়। ফলে পানি প্রবেশ করে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। পানি নেমে গেলে এলাকাবাসী অর্থ ও বাঁশ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শিশু শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে। 

সেতু না থাকায় এখানকার ১১টি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক পরিবার তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য পার্শ্ববর্তী কুলাঘাট, ভাটিবাড়ি, মোগলহাট, মেগারাম ও বড়বাড়ি বাজারের নিয়ে বিক্রি করতে পারছেনা। তাদেরকে অনেক দূর ঘুরে কৃষি পণ্য পরিবহন করে বাজারে নিতে হচ্ছে। এতে খরচ বেড়ে কৃষি পণ্যের সঠিক মূল্য পেলেও লাভের মুখ দেখছেন না। 

সেতুটি ভাঙার পর যারা দূর-দূরান্ত থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসতে গিয়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর উঠায় নড়বরে বাঁশের সাকোটিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। 

এক মাসে নারী শিশুসহ কমপক্ষে ১০ জন মোটরসাইকেল আরোহী এই বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো শিশু শিক্ষার্থী সাঁকো থেকে পড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সাঁকোটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। 

আশরাফুল ইসলাম নামে একজন জানান, সাঁকোটির পাশে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পরিবেশবান্ধব ময়লার ডাম্পিং তৈরি করছে। অথচ পৌরসভা ১১টি গ্রামের কয়েক হাজার  মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার এই ছোট একটি সেতু নির্মাণ করছেন না।এলাকাবাসী এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সদরের ইউএনও, পৌরসভার মেয়র, স্থানীয় এমপিসহ নানা জায়গায় আবেদন করেও তিন বছরেও এই সেতুটি নির্মাণ হয়নি। 

লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র মো. রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু  জানান, সেতুটি পৌরসভার ভেতরে পড়েছে ঠিকই কিন্তু রাস্তাটি পৌরসভার নয়। এটা এলজিইডির রাস্তা, তাই এখানে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব এলজিইডি কর্তৃপক্ষের। পৌরসভার পক্ষ থেকে এলজিইডিকে পত্র দিয়ে জানানো হয়েছে। 

লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফ আলী খাঁন জানান, বরাদ্দের অভাবে এখানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা যাচ্ছে না। তবে প্রজেক্ট তৈরি করে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে খুব দ্রুত একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা