• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

বিয়ানীবাজারে সেতুর অভাবে দুর্ভোগে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের বরুরদল নদীতে একটি সেতুর অভাবে বিবিরাই, বিলবাড়ি ও কালাইন-এ তিন গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী বড়লেখা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার অর্ধ লক্ষাধিক বাসিন্দা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এতে উপজেলার অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে এ তিন গ্রামের সামগ্রিক উন্নয়ন। তাছাড়া সেতু সংযোগ না থাকায় জেলা ও উপজেলা সদরের সাথে এ স্থানীয়দের যোগাযোগের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা বরুরদল নদীর ওই অংশে গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন। এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শ মানুষ পারাপার হন। বিশেষ করে মহিলা ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। সাঁকো পারাপারে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তাছাড়া জেলা শহর সিলেট যাওয়ার অন্যতম সহজ মাধ্যম হওয়ায় এই সড়ক দিয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াত বেশি। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে নিমিষেই নদীসহ আশপাশ এলাকা তলিয়ে যাওয়ার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বর্তমান সরকার ক্ষমতার আসার পর বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও বিবিরাই, বিলবাড়ি ও কালাইন গ্রামসহ আশপাশ এলাকায় তেমন উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।

গ্রামবাসীদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে একটি সেতু নির্মাণের। ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবিরাই গ্রামের এক দুবাই প্রবাসী বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ অনেকটাই কমে যাবে। এখানকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, চাকরীজীবী ও বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষসহ মুমূর্ষু রোগীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন।তিলপাড়া ইউপি সদস্য সুয়াইব উদ্দিন জানান, বরুরদল নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হলে যোগাযোগসহ এলাকার সর্বস্থরের মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও চাকরীজীবীদের চলাচলে অনেক বাধা দূর হবে। ফলে নানান রকম ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে এ অঞ্চলের অধিবাসীরা।

আলাপকালে সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে তিলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জানান, ‘এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে বরুরদল নদীতে সেতু নির্মাণের ব্যাপারে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেও কোনো ফল পাইনি। তবে এক্ষেত্রে আমি আবারো স্থানীয় এলাকাবাসী, মুরব্বিবৃন্দ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের সাথে আলাপ করে আবারোও নতুনভাবে আবেদন করার চেষ্টা করবো।’

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা