• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

লোহার সেতুর সংস্কারের অভাব, দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বরগুনার বেতাগীতে বেড়ের ধন খালের উপরে খোন্তাকাটা লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আকন বাড়ি সংলগ্ন ভেঙে যাওয়া লোহার সেতুটি এখন আরো বেহাল হয়ে পড়েছে। ব্রিজের মধ্যেভাগের কাঠের পাটাতনের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে পথচারীরা। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ১০ গ্রামের ২০ হাজার মানুষকে।

জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোন্তাকাটা লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আকন বাড়ি সংলগ্ন বেড়ের ধন খালের উপর ২০০৭ সালে ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ। ২০১৮ সালের ১৬ মে ট্রলারের ধাক্কায় সেতুটির মধ্যভাগে লোহার কাঠামোর মেইন পোস্ট হেলে পরে। এতে সেতুটির টপ স্লাবটি ধসে পড়ে। ফলে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পরে দুই পাড়ের ১০ গ্রামের ২০ হাজার মানুষের। পরে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০১৮ সালের ২০ আগস্ট ব্রিজটির মধ্যভাগে কাঠের ছাউনি দিয়ে সাময়িকভাবে মানুষ চলাচলের উপযোগী করে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহজাহান হাওলাদার অভিযোগ করেন,‘ সেই থেকে মানুষের পায়ে হাঁটা ও মোটরসাইকেল চলাচল ছাড়া ভারী কোনো যানবাহন পারাপার করতে পারছে না।’ বর্তমানে কাঠের পাটাতনের লোহার পেরেক আলগা হয়ে যাওয়ায় সেতুটির অবস্থা আরো নাজুক হয়ে পড়েছে। বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ।

আরো জানা গেছে, বেতাগী, পাশ্ববর্তী পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ও পূর্ব পাড়ের সহাস্রাধিক মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, বেতাগী পৌরশহর, স্কুল, কলেজ এবং শ্রীনগর ও মহিষকাটা এলাকায় যাতায়াত করেন। এসব মানুষ মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মাহেন্দ্রা, প্রাইভেটকারে চলাচল এবং মিনি ট্রাকে বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে আসছিল কিন্তু দু:খের বিষয় বর্তমানে নড়বড়ে কাঠের পাটাতনের উপড় দিয়ে মানুষ শুধুমাত্র পায়ে হেটে ও মোটরসাইকেলে চলাচল করছে। শীঘ্রই এটির প্রয়োজনীয় সংস্কার না করা হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এমনই আশঙ্কা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।এ ব্যাপারে বেতাগী উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, ‘লোহার সেতুটি নতুন করে টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিস্টদের নিকট প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এটি দ্রুত সময়ে নির্মাণের মাধ্যমে স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাঘব করা হবে।’

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা