• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

শরীয়াহ আইনে মামুনুলের বিচার করবে হেফাজত?

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২১  

মামুনুলকে নিয়ে টালমাটাল হেফাজত। বিশেষ করে হেফাজতের এই যুগ্ম মহাসচিবের সর্বশেষ ফেসবুক লাইভের বক্তব্য এবং ঝর্ণার ডায়েরি হেফাজতকে বিপর্যস্ত করেছে। হেফাজত এখন কোনোভাবেই মামুনুলকে সমর্থন করতে পারছে না এবং মামুনুলের পক্ষে অবস্থান নেয়াটা আত্মঘাতী বলে মনে করছেন হেফাজতের প্রায় সব নেতারা। এই পরিস্থিতিতে আই ওয়াশের জন্য হেফাজতের পক্ষ থেকে মামুনুলের ব্যাপারে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হেফাজতের একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, মামুনুলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো এসেছে সেগুলো নিয়ে আমরা তদন্ত করবো এবং বিচার করবো। এই বিচারে মামুনুলকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হবে।

হেফাজতের পক্ষ থেকে মামুনুলের বিরুেদ্ধে মোটাদাগে তিনটি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। প্রথমত, এরকম সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে যেখানে হেফাজতের কর্মীরা জেলে আছে, কয়েকজন মারা গেছে সেই সময় কি পরিস্থিতিতে কেন তিনি রয়েল রিসোর্টে প্রমোদবিহারে গেলেন?। 

দ্বিতীয়ত, তিনি যে নারীকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি কি তার বৈধ স্ত্রী কি না বা বৈধ বিবাহিত স্ত্রী যদি তিনি হন তাহলে বিয়ের কাবিন এবং কাগজপত্র মামুনুলের কাছে চাইবেন।

তৃতীয়ত, তিনি যদি বৈধভাবে বিয়ে করে থাকেন তাহলে তার বিয়ের কথা প্রথম স্ত্রীকে অবহিত করেছেন কি না। প্রথম স্ত্রীকে অবহিত না করে তিনি কেন বিয়ে করেছেন। যে নারীকে নিয়ে তিনি প্রমোদবিহারে গিয়েছিলেন সেই ঝর্ণা বলেছেন যে মামুনুল তাকে বিয়ে করেননি। এই প্রশ্নের উত্তগুলো খুঁজবেন হেফাজতের নেতারা। আর এই বিচারে প্রত্যেকের বক্তব্য শোনা হবে এবং শেষ পর্যন্ত সকলের বক্তব্য নেয়ার পর হেফাজতের আলেম-ওলামারা শরীয়াহ আইন অনুযায়ি মামুনুলের বিচার করবেন। 

যদিও হেফাজতের থেকে বলা হয়েছে যে, এই বিষয়টি এখন আর মামুনুলের ব্যক্তিগত বিষয় নেই, এটির সঙ্গে হেফাজতের অস্তিত্ব এবং মান মর্যাদার প্রশ্ন জড়িয়ে গেছে। তাছাড়া কোনো মুসলমান যদি শরীয়াহ বহির্ভূত কাজ করেন বা কাউকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন বা প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন এগুলো সবই ইসলামের দৃষ্টিতে গুনাহ এর কাজ। প্রশ্ন হলো মামুনুল এটি করেছেন কি না?

হেফাজতের নেতারা বলেছেন মামুনুল যে কথাবার্তা বলেছেন সেগুলো অসংলগ্ন, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং হেফাজতের জন্য বিব্রতকর। কাজেই হেফাজত এখন মামুনুলের ব্যাপারে নির্মোহ এবং নিরপেক্ষ থাকতে চায়। মামুনুল যদি শেষ পর্যন্ত কোনো অনিয়ম অন্যায় করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিও দিতে পারেন। কিন্তু হেফাজতের অন্য নেতারা বলছেন, শাস্তি দেয়ার আগে সকল পক্ষের কথা শোনা হবে। 

প্রচলিত আইনের কেন মামুনুলের বিচার হবে না? হেফাজত মামুনুলকে কেন আইনের হাতে তুলে দেবে না? এমন প্রশ্নের উত্তরে হেফাজতের একজন নেতা বলেছেন, হেফাজতের সংগঠনের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলাবিরোধী তৎপরতার জন্য বিচারের ব্যবস্থা আছে এবং হেফাজত এই কাজটি অতীতেও করেছে। আমরা সকল পক্ষের বক্তব্য শুনে দেখবো যে মামুনুলের দোষ আছে কি না বা তিনি আদৌও অন্যায় করেছেন কি না। যদি অন্যায় করে থাকেন তাহলে হেফাজতই তাকে শাস্তি দেবে।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা