সাতক্ষীরার জলাবদ্ধ জমিতে পানিফল চাষে সুদিন ফিরেছে চাষিদের
আজকের সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০২২
দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা সাতক্ষীরা চিংড়ি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু বর্তমানে এই জেলার কৃষকরা বিভিন্ন ফল উৎপাদনের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে স্বল্প পরিশ্রমে ও অধিক লাভ হওয়ায় পতিত জলাবদ্ধ জমিতে পানিফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। এতে আর্থিকভাবে লাভোবান হওয়ার পাশাপাশি চাষিদের ঘরে সুদিন ফিরেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরায় আম, ড্রাগন ও মাল্টা চাষাবাদ হচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমিতে। এখন জেলার ১৪২ হেক্টর জলাবদ্ধ পতিত জমিতে পানিফল চাষ শুরু করেছেন প্রান্তিক চাষির। উৎপাদিত পানি ফল জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের অন্য জেলাগুলোতে।
চাষিরা জানান, পানিফল সাতক্ষীরার মানুষের কাছে অতি পরিচিত। এটি স্থানীয়দের কাছে পানিসিংড়া নামে পরিচিত। জলাবদ্ধ জমিতে এই ফলের চাষ হয়। শুধু গ্রামে নয়, শহরের বাজারেও পানি ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভাদ্র থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত জলাবদ্ধ জমিতে পানি ফলের চারা রোপণ শুরু করেন চাষিরা। আর অগ্রহায়ণ থেকে পৌষ মাসের শেষ পর্যন্ত চলে ফল বিক্রি।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন ভোরে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা যাত্রীবাহী বাস, ভ্যানগাড়ি, ইজিবাইকের মাধ্যমে বস্তায় ভরে এই পানিফল বিক্রির জন্য নিচ্ছেন সাতক্ষীরা সদর, যশোর, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে। এছাড়াও কলারোয়া পৌর সদরের মুরারীকটি থেকে যুগিবাড়ী পর্যন্ত সাতক্ষীরা-ঢাকা মাহাসড়কের দুইপাশেও পানিফল বিক্রি করেন চাষিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পানিফল প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫/৩০ টাকা কেজি দরে। প্রথমদিকে কেজি প্রতি দাম ছিলো ৪০/৪৫ টাকা। এই ফলটি চাষে সার কীটনাশকের তেমন প্রয়োজন হয় না। অন্যান্য ফসলের থেকে এর পরিচর্যাও কম। এছাড়া অল্প খরচে লাভ অনেক বেশি। ফলটি খেতেও সুস্বাদু।
কলারোয়া উপজেলার মুরারীকাটি গ্রামের চাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর আমি ৬ বিঘা জমিতে পানিফল চাষ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে পানিফল বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার। এখনও জমিতে ফল রয়েছে, আশা করছি এবার ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার ফল বিক্রি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্য ফসলের থেকে পানিফল চাষে দ্বিগুণ লাভ হচ্ছে। এতে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে এই ফল চাষে আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে।’
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পানিফল চাষি আব্দুল ওহাব ও সিরাজুল ইসলাম বলেন, তারা পতিত ৩ বিঘা জমিতে পানিফল চাষ করেছেন। বর্তমানে ফল তুলে বিক্রি করছেন। গত মৌসুমে খরচ বাদে পানিফল চাষ করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। এবার ফলন ও বাজারমূল্য দুটোয় ভালো। তাই গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি লাভ হবে বলে আশা করছেন তারা।
কলারোয়া উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের চাষি ইয়াকুব্বর আলী বলেন, ‘এ বছর নিজের ৭ বিঘা জমিতে পানিফলের চাষ করেছি। বৃষ্টিপাত বেশি না হওয়ায় স্যালো মেশিনের সেচ দিয়ে এ বছর ফলের আবাদ করেছি। ফল ভালো হয়েছে। তবে বৃষ্টির পানি পেলে ফলন বাড়তো, লাভ আরও বেশি হতো।’
কলারোয়া উপজেলার মুরারীকাটি গ্রামের চাষি আবু হাসান বলেন, ‘কলারোয়া পৌর সদরের মুরারীকটি থেকে যুগিবাড়ী পর্যন্ত সাতক্ষীরা-ঢাকা মহাসড়কের দুইপাশের পতিত ও জলাবদ্ধ জমির পানির উপর যতদূর চোখ যায় শুধুই পানি সিঙ্গারার (পানি ফল) গাছ।’
পানিফল চাষিদের দাবি সরকারি-বেসরকারি খাত থেকে ঋণ সহায়তা পেলে আরো অনেক প্রান্তিক কৃষকরা পানিফল চাষের সুযোগ পাবেন। ফলে একদিকে নিজেরা যেমন স্বাবলম্বী হতে পারবেন ঠিক তেমনই গ্রামীণ অর্থনীতিতেও অবদান রাখা সম্ভব হবে।
কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হোসেন জানান, ‘পানিফল একটি বর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। বর্তমানে পানিফল কৃষিতে নতুন এক সম্ভাবনাময় ফসল। কৃষি বিভাগ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে পানিফল চাষের বিস্তার ঘটাতে। যে কোনো পতিত পুকুর, ডোবা অথবা জলাশয়ে পানিফল চাষ করা সম্ভব। তুলনামূলক এর উৎপাদন খরচ কম। পানিফলের পুষ্টিমান অনেক বেশি, খেতেও সুস্বাদু।’
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন বলেন, ‘কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সল্প সময়ে অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা পানিফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া, সদর ও দেবহাটা উপজেলায় পানিফলের চাষ হচ্ছে। গত বছরে ১১৬ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিলো। চলতি বছর ১৪২ হেক্টর জমিতে ফলটি চাষ হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেমিক্যালমুক্ত সতেজ এই পানিফল দেশের বাজারে বিস্তার লাভ করবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় কৃষকদের।’
- বুবলীর আগেও বিয়ে হয়েছিল, মেয়েও আছে সেই ঘরে?
- এই গরমে ডায়রিয়া হলে কী করবেন
- প্রিজন ভ্যানেই নারী ধর্ষণ!
- বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- গণভবনের শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিলেন শেখ হাসিনা
- ইসরায়েলে কী রকম অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান
- হত্যার হুমকির পর এবার সালমানের বাড়ির সামনে গুলি
- উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলি জাহাজ জব্দ করল ইরান
- সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব
- ব্রাজিলিয়ান বিকিনি মডেলের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন আরিয়ান!
- মন্ত্রীর নাতির সঙ্গে মেয়ে জাহ্নবীর প্রেমের কথা স্বীকার করলেন বনি!
- ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী
- পবিত্র কাবা থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার ছাড়াল নামাজের কাতার
- চিকিৎসক হলেন ৩ ফুট উচ্চতার ভারতীয় তরুণ
- রোজা রাখলে শরীরে যা ঘটে
- বই বিক্রির অর্থ মসজিদ নির্মাণে দিলেন সঙ্গীতশিল্পী তাশরিফ
- ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা
- দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ
- বাঙালির হৃদয়কে আবিষ্ট করেছিল ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
- মানুষের অধিকাররক্ষায় কাজকরে র্যাব,তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা গ্রহণ নয়
- রাজনীতি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে মাহি
- ছেলেকে নিয়ে খবর, মেসি বললেন—এটা মিথ্যা
- ৭২ বিজিবি সদস্যকে পদক পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- রমজানে ভোক্তাদের যেন হয়রানি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস এখন অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির আখড়া
- রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার
- আমাদের পুলিশ আরও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
- স্থানীয় সরকারকে আরও শক্তিশালী করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
- ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী
- ব্রাজিলিয়ান বিকিনি মডেলের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন আরিয়ান!
- সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব
- মন্ত্রীর নাতির সঙ্গে মেয়ে জাহ্নবীর প্রেমের কথা স্বীকার করলেন বনি!
- ইসরায়েলে কী রকম অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলি জাহাজ জব্দ করল ইরান
- বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
- হত্যার হুমকির পর এবার সালমানের বাড়ির সামনে গুলি
- গণভবনের শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিলেন শেখ হাসিনা
- প্রিজন ভ্যানেই নারী ধর্ষণ!
- এই গরমে ডায়রিয়া হলে কী করবেন
- বুবলীর আগেও বিয়ে হয়েছিল, মেয়েও আছে সেই ঘরে?