• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলায় আরো দুই নেতার সাক্ষ্য

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২২  

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় সাক্ষ্য দিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ ও কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু।

সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এ সময় আদালতের কাঠগড়ায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৯ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা আদালত সূত্রে জানা যায়, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় কারাগারে থাকা ৩৯ জন আসামিকে  সকাল ৮ টায় জেলা কারাগার থেকে স্পেশাল টাইব্যুনাল-৩ এর কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। এ মামলার অপর ৯ জন আসামি পলাতক রয়েছেন এবং একজন সম্প্রতি মারা গেছেন। ৮টা ১৫ মিনিটে এ মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় সাক্ষী হিসেবে দুই নেতা হাজির হন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ। তাকে সহায়তা করেন, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল বারি, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু প্রমুখ।

অপরদিকে, আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ (২), অ্যাডভোকেট  মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভুট্টো প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয় বিএনপি অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস রাস্তার উপরে আড় করে রেখে নেত্রীর গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় করা  হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়। 

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা