• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

খাজরায় বীজতলা পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২১  

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নে এবার সময় মত বৃষ্টি হওয়ায় এলাকার কৃষক-কৃষাণীরা আগেভাগেই আমন ধানের বীজতলা তৈরী ও রোপণকৃত বীজতলা পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সোমবার (১২ জুলাই) ইউনিয়নের বিভিন্ন বীজতলা ঘুরে দেখা যায়,চলতি আমন মৌসুমে খালিয়া,রাউতাড়া,তুয়ারডাঙ্গা,মুরারীকাটি,পিরোজপুর,গজুয়াকাটি,গোয়ালডাঙ্গা,দূর্গাপুরসহ আশপাশের এলাকায় আগাম বৃষ্টিপাত হওয়ায় অধিকাংশ কৃষক ইতিমধ্যে বীজতলা তৈরী করে ফেলেছেন।

এখন চলছে বীজতলা পরিচর্চার কাজ। পরিচর্চার মধ্যে বীজতলার পানি নিষ্কাশন,কীটনাশক ও সার প্রয়োগ,আগাছা পরিষ্কার,পানি উত্তোলনসহ বিভিন্ন কাজ। স্থানীয় কৃষকদের এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিলে অবস্থান করতে দেখা যায়। আবার অনেক কৃষক অপেক্ষাকৃত নিচু ভূমিতে বীজতলা তৈরি করায় অতিবৃষ্টিতে বীজতলা তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করছেন। অনেকেই বীজতলা তৈরির জন্য জমি নির্বাচন করে চাষ,মই,ঘাস পরিষ্কার করতে দেখা যায়। এ অঞ্চলে অধিকাংশ জমিতে লবণ পানির মৎস্য ঘের হওয়ায় আমন ধানের আবাদ কিছুটা পূর্বের তুলনায় কম হয়। স্থানীয় খালে ও বিলে অবৈধ নেট পাটা অপসারণ না করলে অতিবৃষ্টিতে এ সমস্ত বীজতলা তলিয়ে কৃষকদের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।

বর্তমানে ধান ও মাছ চাষের পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকরা ঘেরের ভেড়িতে,নেটজাল টাঙিয়ে অস্থায়ী মাচা তৈরী করে বিভিন্ন সবজির চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। সমন্বিত এ পদ্ধতিতে লাভবান হওয়ায় অনেকেই এ পেশায় ঝুঁকছেন। তাদেরকে আরো উদ্বুদ্ধ করতে আশাশুনি কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
৪নং ওয়ার্ডের খালিয়া গ্রামের প্রান্তিক চাষি এবাদুল সানা জানান,আমি এবার মৎস্য ঘেরের পাশাপাশি ৮শতক জায়গায় হলুদ ও কচুরমূখির চাষ করেছি। গাছের পরিচর্চা করছি ঠিকমত। আশা করি ভাল ফলন পাবো। কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সরকারি কৃষিখাতে প্রণোদনা পাইলে আরো চাষে আগ্রহ বাড়বে। এছাড়াও মৎস্য ঘেরের আইলে ঢেড়স,পুইশাকসহ বিভিন্ন জাতের সবজি রোপণ করেছি।

ধান চাষি লোকমান জানান,এবার আগেই বৃষ্টি হওয়ায় তিন দিন আগে ২৮ধানের বীজ বীজতলায় ধান ফেলেছি। এখন পর্যন্ত ধানের বীজতলায় কোন সমস্যা হচ্ছে না। নিয়মিত পরিচর্চায় আছি। তিনি আরও জানান,বর্তমানে বীজ ধানের বাজার অনেক চড়া। প্রান্তিক চাষিদের ধান চাষে আনতে হলে বীজ ধানের দাম কম করতে হবে। সরকারি ভাবে স্থানীয় ডিলারদের নিয়মিত বাজার দর মনিটরিং করতে হবে। তাহলে আমরা কৃষকরা লাভের মুখ দেখতে পাবো। এবার ১বিঘা জমিতে চাষ,শ্রমিক,সার,কীটনাশক খরচ বাবদ ৪থেকে ৫হাজার টাকার খরচ হতে পারে।

এ বিষয়ে খাজরা বøকের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান,তুয়ারডাঙ্গা ওয়াপদার রাস্তা ভেঙে তুয়ারডাঙ্গা বিলে লবণ পানি প্রবেশ করার কারণে ইউনিয়নে এবার কত হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হচ্ছে তা এখনও ঠিক করা হয়নি। তিনি আরও জানান, ইউনিয়নে ২জনকে ব্রি-৭৩ জাতের ৫কেজি করে আমন ধানের বীজ সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং ৩৫জনকে কৃষি প্রণোদনার অংশ হিসিবে ব্রি-৪৯ জাতের ৫কেজি বীজ ধান,১০কেজি ডিএপি সার,১০কেজি পটাশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ২টি পুষ্টি বাগান,২টি আমন ধানের ব্রি-৮৭,ব্রি-৭২ জাতের প্রদর্শনী প্লট তৈরী করা হচ্ছে। কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা কৃষকরা পাবে আশা করি।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা