• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

ঝাউডাঙ্গায় কালো মানিকের দাম ৫ লাখ টাকা

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২১  

মৎস্য ঘেরের পাশাপাশি ২০১৫ সাল থেকে গবাদিপশু পালন করে সফলতা পেয়েছেন আব্দুল মান্নান নামের এক যুবক । প্রথমে দুইটি গরু দিয়ে শুরু করলেও তার খামারে এখন দশটি গরুর মধ্যে ১৮ মন ওজনের সব থেকে বড় গরুটির নাম কালো মানিক। এ বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন খামারী আব্দুল মান্নান৷ সরেজমিনে দেখা যায়, সাতক্ষীরা জেলা সদরের ঝাউডাঙ্গা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন গবিন্দকাটি খালের পাড় এলাকার মৃত আব্দুর রউফের ছেলে খামারী আব্দুল মান্নান। ধানের কুড়া, বিচুলিসহ খালের পাড়ে লাগানো নেপিয়া ঘাস প্রাকৃতিক গো খাদ্য খাওয়ানোর পাশাপাশি কর্মচারী দিয়ে সঠিক পরিচর্যা করেন গবাদিপশুদের।

খামারে গরু পাশাপাশি ১০ টি সুস্বাস্থ্যবান ছাগলসহ হাস, মুরগি, কবুতর ও খরগোশ রয়েছে। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবে খামারের গবাদিপশু বিক্রি করতে না পেরে তুলনামূলক লোকশান ও বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন ঐ খামারী। খামারী আব্দুল মান্নান বলেন, মাছের ব্যবসার সাথে ২০১৫ সাল থেকে গবাদিপশু পালনের কাজ শুরু করেন। প্রথম থেকে ভালো লাভ হওয়াতে বাড়তি সময় ও শ্রমিক দিয়ে খামার বড় করে বর্তমানে বিক্রি যোগ্য ১০ টি গরু ও ১০টি ছাগল আছে। যার মধ্যে প্রায় ১৮ মন ওজনের সব থেকে বড় গরু ‘কালো মানিক’কে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দর কষাকষির মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হবে।

গরটির বুকের মাপ ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি ও লম্বা ৭ ফুট ৬ ইঞ্চি । দৈনিক কালো মানিকের পিছনে প্রায় এক হাজার টাকা খরচ করেন৷ খামারী আব্দুল মান্নান আরও বলেন, কালো মানিক’কে যাতে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে মাধ্যমে সরকারি অনলাইন হাটে বিক্রি করতেন সে জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের সযোগীতা কামনা করেন। কালো মানিক’কে যদি কেহ ক্রয় করে তাহলে ঈদ পর্যন্ত খামারে রেখে ফ্রি খাওয়াবেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷ কালো মানিককে দেখতে আসা কলারোয়া বঙ্গবন্ধু মহীলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক জহিরুল ইসলাম শাহীন বলোন, ফেসবুকে কালো মানিকের দেখো সরেজমিনে এসে দেখে মনটা জুড়িয়ে গেল। পরিচ্ছন্ন খামারে ৩ জন কর্মচারী গবাদিপশু দেখাশোনা করেন। কালো মানিক জেলার মধ্যে উচ্চতা ও আকারে বেশ বড় ।

এত বড় গরু দর কষাকষির মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করবেন খামারী৷ এলাকবাসী কে.এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে পরিচ্ছন্ন খামারে আব্দুল মান্নান কালো মানিককে অনেক পরিশ্রম করে বড় করেছেন। তবে করোনায় খামারী অনেকটা বিক্রি নিয়ে হতাশার রয়েছে। খামারীর ন্যায্য মূল্য পেতে প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা কামনা করেন তিনি৷ সাতক্ষীর সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জয়দেব কুমার সিংহ বলেন, জেলা সদরের ৮ হাজার ৪৩৪ টি গরুর খামার রয়েছে। এবছর ঈদুল আজহাতে ৬ হাজার গরু ও ছাগল ভেড়ার বিক্রি করার চাহিদা আছে ৪১১০টি৷সদরে ২ হাজার ৩০৬ টি গরুর খামার ও ১ হাজার ৫০০ ছাগলের খামার আছে। জেলা সদরের খামারীরা যাতে ন্যায্য মূল্য পেতে পারে সেদিকে খেয়াল রেখে ছবি ও বিবরণ অনলাইনে ভুক্ত করে সাতক্ষীরা সদর অনলাইন গরু হাটের মাধ্যমে বিক্রি করে খামারীদের সহযোগীতা করা হচ্ছে।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা