• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩  

২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের সংদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভায় স্বাগত বক্তব্যে এই স্বীকৃতি দাবি করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মনোনয়ন বোর্ডের এই সভা হচ্ছে। সেখানে সভাপতিত্ব করছেন সরকারপ্রধান।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মাটিতে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। প্রায় ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিলেন পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গণহত্যা চালায় বাংলাদেশে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর জাতীয় সংসদে সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে জাতীয়ভাবে দেশে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’পালিত হচ্ছে।

স্বাধীনের পর থেকে গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, গণহত্যা জাদুঘরসহ নানা সংগঠনের প্রচেষ্টায় গত কয়েক দশকে গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি জোরালো হয়। বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষও গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে দেশে নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে।

ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম গণহত্যা হলেও জাতিসংঘে বা আন্তর্জাতিক প্রাতিষ্ঠানিক কোনো দলিলে এর স্বীকৃতি এখনও নেই। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে আর তার ধারাবাহিকতা অনুসরণ করা হয়নি। আজ গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় স্বাগত বক্তব্যে সরকারপ্রধান গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দিনের পর দিন এ দেশে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। দীর্ঘ নয় মাস তারা বীভৎসভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে গেছে। ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে তিন কোটি মানুষ গৃহহারা হয়। এক কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে যায়, শরণার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। রাস্তায় রাস্তায় পড়েছিল মৃতদেহ, যা শেয়াল, কুকুরে খেয়েছে। হানাদাররা এ দেশের মেয়েদের ওপরে চালিয়েছিল পাশবিক অত্যাচার। এই ২৫ মার্চে রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। তাই আমরা চাই ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাক। কারণ ক্ষতটা নিয়েই আমাদের যাত্রা শুরু।’

সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে হাতে হাত দিয়েছিলেন। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন, কিন্তু তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তিনি, চার জাতীয় নেতাসহ অসংখ্য শহীদের আত্মত্যাগে এই দেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, শহীদের রক্ত বৃথা যায় না। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। শহীদদের কাছে অঙ্গীকার করছি, দেশকে উন্নত করে গড়ে তুলব।’

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা