• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

কিছুটা বিলম্বে ট্রেন, তবু স্বস্তিতে যাত্রীরা

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১ মে ২০২২  

ঈদযাত্রার পঞ্চম দিনে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সামান্য দেরিতে ছেড়ে গেছে কয়েকটি ট্রেন। এমন পরিস্থিতিতেও তেমন একটা অস্বস্তির ছাপ নেই যাত্রীদের মুখে। ঘরে ফেরার যাত্রা শুরু করতে পেরেই খুশি তারা। রোববার সকাল থেকে কিছুটা বিলম্বে ছেড়ে যায় রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস, চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস এবং খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস। এ ছাড়া বাকি ট্রেনগুলো সময়মতো ছেড়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের অতিরিক্ত চাপে ট্রেন আধা ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট বিলম্বিত হওয়াকে শিডিউল বিপর্যয় বলা যায় না।

বিষয়টি অনেকটা স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। তারা বলছেন, রেলসেবা আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। ঈদের মধ্যে বাড়ি যাওয়ার বাড়তি চাপ থাকে। এর মধ্যে আধা ঘণ্টা বিলম্বিত ট্রেন ছাড়া স্বাভাবিক বিষয়।

সবচেয়ে বেশি ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের মতো দেরি করেছে ধূমকেতু এক্সপ্রেস। সকাল ৬টায় কমলাপুর স্টেশন থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ছেড়েছে ৭টা ১৫মিনিটে।

আগের দিনও ৩৫ মিনিট দেরিতে ছেড়েছিল ট্রেনটি। নির্ধারিত সময় সকাল ৬টার বিপরীতে স্টেশন ত্যাগ করেছিল ৬টা ৩৫ মিনিটে।

চিলাহাটীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও প্ল্যাটফর্ম ত্যাগ করেছে ৭টা ৫০ মিনিটে। অর্থাৎ ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটের মতো বিলম্বিত হয়েছে ট্রেন। আগের দিন শনিবার ৫০ মিনিট দেরিতে ছেড়ে গিয়েছিল এটি। এ ছাড়া খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রার সময় নির্ধারিত ছিল সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে। কিন্তু ৩৫মিনিট দেরিতে ট্রেনটি ছেড়েছে ৮টা ৫০ মিনিটে। যদিও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে দুটি ট্রেন বিলম্বিত হয়েছে। সেটাও আধা ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিটের বেশি দেরি হয়নি।

স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সকাল ১০টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকাল থেকে যেসব আন্তনগর ও কমিউটার ট্রেন গিয়েছে তার মধ্যে ধূমকেতু ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস। এই দুটি আধা ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট বিলম্বিত হয়েছে। এটাকে শিডিউল বিপর্যয় বলে না।’

বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই শনিবার গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার কারণে যাত্রীসাধারণের চাপ বেড়ে যায়। যে কারণে আমাদের সামাল দিতে সমস্যা হয়েছে। তাছাড়া আমাদের সবকিছু ঠিক ছিল।

‘এতসংখ্যক মানুষের চাপ, আপনারা দেখে থাকবেন যে আমাদের স্টেশনের গেট ভেঙে ফেলেছে। এখন মানুষকে তো নিরাপদে পৌঁছাতে হবে। আমরা সময়ের চেয়ে নিরাপদে পৌঁছানোকে গুরুত্ব দিয়েছি।’

স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটা ক্রসিং, অ্যারেঞ্জমেন্ট, অপারেশনাল প্রিপারেশন আমরা সব স্মুথলি করেছি, যার কারণে ট্রেন আধা ঘণ্টা ডিলে হয়েছে। এটাকে শিডিউল বিপর্যয় বলা যায় না বা বলেও না ‘

ধূমকেতু এক্সপ্রেসের যাত্রী আসিফ আলী ফয়সাল বলেন, ‘ঈদের মধ্যে মানুষের যে ভিড় থাকে, তাতে দেরি করে ছাড়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাও ভালো যে এক ঘণ্টার মধ্যেই ছাড়ছে, পাঁচ-ছয় ঘণ্টা দেরি করতে হচ্ছে না।’

আজমান আলী নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘আমি ধরেই নিয়েছিলাম প্রতিটি ট্রেন দেরি করে ছাড়বে, তবে শুনেছি, দুই-একটি ছাড়া বেশির ভাগ ট্রেনই নাকি প্রতিদিন সময়মতো ছেড়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘রেলের সেবা তুলনামূলক ভালো হয়েছে। আমার মনে হয় দেরি হওয়ার কারণ এই অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়।’
শুভ্র নামের চিলাহাটীর এক যাত্রী বলেন, ‘অনেক মানুষের ভিড়। যদি এক ঘণ্টা দেরিতেও ছাড়ে তবুও দোষ দেয়া যায় না। ‘

এই সময়ে বাকি ট্রেনগুলো যথাসময়ে স্টেশন থেকে গন্তব্যে ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা