জাতিসংঘে বাংলাদেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক প্রস্তাব গৃহীত
আজকের সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২১
প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্বের শিকার বিশ্বের ১১০ কোটি মানুষকে ২০৩০ সালের মধ্যে চক্ষু স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ করে দেবে জাতিসংঘ। এই অঙ্গীকার নিয়েই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হলো 'সবার জন্য দৃষ্টি: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ ত্বরান্বিত করার পদক্ষেপ' শীর্ষক দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক প্রথম রেজুলেশন।
শুক্রবার 'ফ্রেন্ডস অব ভিশন' এর পক্ষে রেজুলেশনটি সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
উপস্থিত সবাই রেজুলেশনটিকে অনন্য একটি রেজুলেশন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। কারণ প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ বৈশ্বিক সংস্থা-জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব নিরাময়ে সর্বসম্মতভাবে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হলো।
বিভিন্ন পর্যায়ের দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতার শিকার বিশ্বের ২ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের চক্ষু স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে ব্যাপক ভিত্তিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে জাতিসংঘে অনানুষ্ঠানিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে দৃষ্টি বা ভিশন বিষয়ক এই গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস।
রেজুলেশনটি উত্থাপনের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে যোগ দেয় গ্রুপটির অপর দুই সহ-সভাপতি ‘এন্টিগুয়া ও বারবাডোস’ এবং আয়ারল্যান্ড। এতে সর্বমোট ১১৫টি দেশ পৃষ্ঠপোষকতা করে।
সাধারণ পরিষদে প্রদত্ত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা রেজুলেশনটিকে বিশ্বের সবার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য উৎসর্গ করেন এবং সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান যাতে দেশগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের সব জনগণকে চক্ষু স্বাস্থ্যসেবায় পূর্ণ প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে। রেজুলেশনটিতে সুদৃঢ় কিছু ম্যান্ডেট/বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং কোটি কোটি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষদের কাছে শক্তিশালী আশার বার্তা পৌঁছাতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, আজকের এই রেজুলেশনটি চক্ষু সেবার বৈশ্বিক প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। রেজুলেশনটিতে নেতৃত্ব দিতে পেরে বাংলাদেশ সম্মানিতবোধ করছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মানুষ প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব নিয়ে বসবাস করছে। প্রতিরোধযোগ্য দৃষ্টিহীনতা একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যার জন্য প্রয়োজন একটি বৈশ্বিক সমাধানের জন্যই আমরা আজ ঐক্যমতে পৌঁছুতে পেরেছি। আমাদের এই ঐক্যমত বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ, তাদের পরিবার ও সম্প্রদায়ের জীবন ধারায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আমার বিশ্বাস।
বৈশ্বিকভাবে পরিচালিত একটি জরিপের উদাহরণ টেনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা এবং অন্ধত্বজনিত কারণে মানুষের উৎপাদনশীলতা হারানোর ক্ষতির হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হচ্ছে, যা একটি বিশাল বৈশ্বিক আর্থিক বোঝা। চক্ষু স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ শুধু শিক্ষা থেকে শিশুদের ঝরে পড়ার হার ৪৪ শতাংশ হ্রাস করে না বরং এটি বেতনভুক্ত চাকরি পাওয়ার সুযোগ ১০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। অন্ধত্বের ক্ষেত্রে লিঙ্গসমতাও একটি ইস্যু, কারণ দেখা গেছে ৫৫ শতাংশ অন্ধ মানুষ নারী বা বালিকা; পুরুষদের তুলনায় তাদের অন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও ৮ শতাংশ বেশি।
রেজুলেশনটিতে চক্ষু স্বাস্থ্যসেবাকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জাতীয় প্রতিশ্রুতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ও দাতাদের লক্ষ্য-ভিত্তিক অর্থায়ন, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব মোকাবিলায় সহযোগিতা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে রেজুলেশনটিতে। জাতিসংঘ যাতে এর সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের মাধ্যমে চক্ষু স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি তাদের কাজের সঙ্গে যুক্ত করে নেয় সে অনুরোধও জানানো হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এবং এ সংক্রান্ত পরবর্তী পর্যালোচনায় চক্ষু সেবার জন্য নতুন একটি লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত করারও আহ্বান জানানো হয়েছে রেজুলেশনটিতে।
যথাযথ চক্ষু স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকার নেই এমন মানুষগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশ বাস করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
২০১৮ সালের এক হিসাব মতে বাংলাদেশে ৩০ ও তদুর্ধ বয়সের অন্ধ মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার এবং ৬০ লাখেরও বেশি মানুষের চশমা পরিধান বা অন্য কোনো উপায়ে দৃষ্টিজনিত সমস্যা সমাধানের প্রয়োজন হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে গৃহীত ‘ভিশন-২০২০’ শীর্ষক বৈশ্বিক পদক্ষেপ স্বাক্ষরকারী দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
- বুবলীর আগেও বিয়ে হয়েছিল, মেয়েও আছে সেই ঘরে?
- এই গরমে ডায়রিয়া হলে কী করবেন
- প্রিজন ভ্যানেই নারী ধর্ষণ!
- বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- গণভবনের শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিলেন শেখ হাসিনা
- ইসরায়েলে কী রকম অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান
- হত্যার হুমকির পর এবার সালমানের বাড়ির সামনে গুলি
- উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলি জাহাজ জব্দ করল ইরান
- সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব
- ব্রাজিলিয়ান বিকিনি মডেলের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন আরিয়ান!
- মন্ত্রীর নাতির সঙ্গে মেয়ে জাহ্নবীর প্রেমের কথা স্বীকার করলেন বনি!
- ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী
- পবিত্র কাবা থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার ছাড়াল নামাজের কাতার
- চিকিৎসক হলেন ৩ ফুট উচ্চতার ভারতীয় তরুণ
- রোজা রাখলে শরীরে যা ঘটে
- বই বিক্রির অর্থ মসজিদ নির্মাণে দিলেন সঙ্গীতশিল্পী তাশরিফ
- ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা
- দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ
- বাঙালির হৃদয়কে আবিষ্ট করেছিল ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
- মানুষের অধিকাররক্ষায় কাজকরে র্যাব,তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা গ্রহণ নয়
- রাজনীতি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে মাহি
- ছেলেকে নিয়ে খবর, মেসি বললেন—এটা মিথ্যা
- ৭২ বিজিবি সদস্যকে পদক পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- রমজানে ভোক্তাদের যেন হয়রানি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস এখন অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির আখড়া
- রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার
- আমাদের পুলিশ আরও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
- স্থানীয় সরকারকে আরও শক্তিশালী করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
- ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী
- ব্রাজিলিয়ান বিকিনি মডেলের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন আরিয়ান!
- সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব
- মন্ত্রীর নাতির সঙ্গে মেয়ে জাহ্নবীর প্রেমের কথা স্বীকার করলেন বনি!
- ইসরায়েলে কী রকম অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলি জাহাজ জব্দ করল ইরান
- বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
- হত্যার হুমকির পর এবার সালমানের বাড়ির সামনে গুলি
- গণভবনের শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিলেন শেখ হাসিনা
- প্রিজন ভ্যানেই নারী ধর্ষণ!
- এই গরমে ডায়রিয়া হলে কী করবেন
- বুবলীর আগেও বিয়ে হয়েছিল, মেয়েও আছে সেই ঘরে?