• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

ফেসবুকের কালো তালিকায় বাংলাদেশি এক ব্যক্তিসহ ৬ জঙ্গি সংগঠন

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২১  

ফেসবুকের 'বিপজ্জনক ব্যক্তি ও সংগঠনের (ডিআইও)' কালো-তালিকায় বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত বা দেশে সক্রিয় ছয় জঙ্গি সংগঠন এবং এক ব্যক্তির নাম দেখা গেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ এই গোপন কালো তালিকার নথিপত্র হাতে পেয়েছে।

সংগঠনগুলো হলো: ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত আল মুরসালাত মিডিয়া এবং ইসলামিক স্টেট বাংলাদেশ, আল-কায়েদার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যুক্ত হরকাতুল-জিহাদ-ই ইসলামী- বাংলাদেশ এবং আনসারুল্লাহ বাংলা, জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ এবং সাহাম-আল-হিন্দ মিডিয়া।

ফেসবুক বলছে, সাহাম আল-হিন্দ মিডিয়ার সঙ্গে জামায়াত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশের এবং আল মুরসালাত মিডিয়ার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সম্পর্ক রয়েছে। ফেসবুকের বিপজ্জনক ব্যক্তির তালিকায় এক বাংলাদেশির নামও রয়েছে। তরিকুল ইসলাম নামে ওই বাংলাদেশির সঙ্গে জামায়াত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সম্পর্ক আছে বলে জানিয়েছে ফেসবুক। তবে ওই ব্যক্তির ব্যাপারে বিস্তারিত আর কোনও তথ্য জানানো হয়নি।

'বিপজ্জনক' চার হাজার ব্যক্তি ও সংগঠনের তালিকা প্রকাশ করেছে ফেসবুক। এর মধ্যে, দাতব্য সংস্থা, হাসপাতাল, লেখক, কয়েকশ মিউজিক ভিডিও, রাজনীতিক এবং মৃত ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের নাম রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগে ফেসবুক বহু ব্যক্তি ও সংগঠন নিয়ে পোস্ট করায় ব্যবহারকারীদের বাধা দিয়ে আসছে।

তবে, আইনি বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট অ্যাক্টিভিস্টদের ক্রমাগত চাপে ফেসবুক এই অবস্থান থেকে সরে এসেছে। পরিবর্তে, বিপজ্জনক তালিকাভুক্ত ব্যক্তি ও সংগঠনগুলোকে সর্বসম্মুখে চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয় ফেসবুক।

যেসব ব্যবহারকারী ফেসবুকে এসব গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা করেন; তাদের ফেসবুকের ডিআইও নীতিমালা অনুযায়ী, চিহ্নিত 'বিপজ্জনক' ব্যক্তি বা সংগঠন সম্পর্কে ব্যবহারকারীরা মত প্রকাশ করলে সাধারণত তাদের পোস্ট ডিলিট করে দেওয়া হয় বা ফেসবুক আইডি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। ডিআইও তালিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে ফেসবুক মত প্রকাশে বাধাদান থেকে সরে এসে জনসাধারণকে সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছে।

ফেসবুক বলেছে, সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি সংগঠনগুলোর মতো যারা অফলাইনে মারাত্মক ক্ষতিকর কাজ করতে পারেন; তাদেরকে কালো তালিকার প্রথম স্তরে রাখে ফেসবুক। এছাড়া সিরিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মতো যেসব সহিংস বিদ্রোহী গোষ্ঠী রয়েছে তাদের দ্বিতীয় স্তর এবং তৃতীয় স্তরে এমন ব্যক্তি ও সংগঠনকে রাখা হয়; যারা ফেসবুকের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং বিপজ্জনক সংগঠনের নীতিমালা লঙ্ঘন করে। তবে তারা অগত্যা সহিংসতায় জড়িত হয়নি বা সহিংসতায় সমর্থন দেয়নি। বাংলাদেশের যেসব সংগঠন এবং ব্যক্তির নাম ফেসবুকের গোপন কালো তালিকায় রয়েছে; তাদেরকে নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা করা হলে চরম শাস্তি হতে পারে।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা