• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে আবারও বড় সাফল্য

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

করোনা মহামারির প্রভাবে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া এবং পণ্য পরিবহন খরচ দ্বিগুণ হওয়ার পরও দেশের রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে রপ্তানিতে রেকর্ড প্রবৃদ্ধির পর জানুয়ারিতেও ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় হয়েছে। গতকাল বুধবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।  

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের একক মাস গত জানুয়ারিতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৮৫ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪১.১৩ শতাংশ বেশি। একক মাসের হিসাবে দেশের ইতিহাসে এই আয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আগের মাস ডিসেম্বরে একটু বেশি, ৪৯০ কোটি ৭৭ লাখ ডলার আয় হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, রেকর্ড প্রবৃদ্ধি আবারও প্রমাণ করেছে যে দেশের পোশাক খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে। এ ছাড়া দর-কষাকষিতেও সক্ষমতা বেড়েছে। তাঁরা বলেন, একসময় কার্যাদেশ কম থাকায় লোকসান দিয়েও কাজ করেছেন তাঁরা। এখন ক্রেতারা পোশাকের দর বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়লেও সামনে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ। এ জন্য এখনই উদ্যোগ নিতে হবে সরকার ও উদ্যোক্তাদের। জোর দিতে হবে কৃত্রিম তন্তুর পোশাক (এমএমএফ) তৈরি সক্ষমতা বাড়ানোর, পরিবেশবান্ধব উপায়ে পোশাক (সাকুলারিটি) এবং পণ্য বহুমুখীকরণে। এ ছাড়া কান্ট্রি ব্র্যান্ডিং হবে দেশের টেকসই রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস। এ বিষয়ে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত কার্যাদেশ ও কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া এবং করোনা মহামারির মধ্যে দেশের রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। প্রধানত প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় সময়মতো পণ্য জাহাজীকরণ, উচ্চ মূল্যের পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি এবং পোশাক খাতের বৈশ্বিক ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে। ’

অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘রপ্তানি আয়ে ধারাবাহিক ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি পোশাক খাতের সক্ষমতা বেড়েছে, এটা প্রমাণিত। একই সঙ্গে বাড়ছে উচ্চ মূল্যে পোশাক রপ্তানি। ফলে এই খাতের এখনো বিপুল সম্ভাবনা আছে। তবে চ্যালেঞ্জও কম নয়। এ জন্য কৃত্রিম তন্তুর পোশাক (এমএমএফ) তৈরি, সার্কুলারিটি এবং পণ্য বহুমুখীকরণে আরো জোর দিতে হবে। ’ তিনি বলেন, ‘এমএমএফ সংযোগ শিল্পের ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। ’

ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সামগ্রিকভাবে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে দুই হাজার ৯৫৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা দেশি মুদ্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি। এ আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০.৩৪ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে তা আলোচ্য সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১৬ শতাংশ বেশি।

রপ্তানি আয়ের শীর্ষ খাত তৈরি পোশাক থেকে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে দুই হাজার ৩৯৮ কোটি ডলারের রপ্তানি হয়েছে। এ আয় গত বছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ের তুলনায় ৩০.৩ শতাংশ বেশি।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা