• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

২৭ বছর বয়সে বিখ্যাত ৫০ সংগীতশিল্পীর মৃত্যু, যে রহস্য ভেদ হয়নি

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২১  

তেল আবিবের টুয়েন্টিসেভেন ক্লাবের গ্রাফিতি ক্লাবের কয়েকজন সদস্যকে চিত্রিত করেছে। বাম থেকে ডানে: ব্রায়ান জোন্স, জিমি হেন্ডরিক্স, জ্যানিস জপলিন, জিম মরিসন, জিন-মিশেল বাস্কোয়াট, কার্ট কোবেইন, অ্যামি ওয়াইনহাউস, এবং একজন অজানা ব্যক্তি, সম্ভবত শিল্পী নিজেই।

অ- অ অ+

১৯৬৯ খেকে ১৯৭১- এই তিন বছরে ব্রায়ান জোনস, অ্যালান উইলসন, জিমি হেনড্রিক্স, জেনিস জেপলিন এবং জিম মরিসনের মতো বিখ্যাত তারকারা মৃত্যুবরণ করেন। এ সময়টাতেই ২৭ বছরে মৃত্যু নিয়ে পত্রপত্রিকায় কিছু কথা আসে। কিন্তু ব্যাপারটি নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাননি তখনকার সংগীত তারকারা অথবা মিউজিক ম্যাগাজিনগুলোও। 

তবে এটি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে দুই যুগেরও বেশি সময় পরে, যখন নির্ভানার জনপ্রিয় ভোকাল কার্ট কোবেইন ঠিক ২৭ বছর বয়সে হুট করেই মারা যান। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় হৈচৈ পড়ে যায়।

খ্যাতিমান ব্যক্তিদের মৃত্যুর নথিভুক্ত করে বলা ক্লাব টুয়েন্টি সেভেন। কেউ কেউ কারণ হিসেবে তাদের উচ্চ ঝুঁকির জীবনধারার কথা উল্লেখ করেছেন। প্রায়শই নামগুলো মুখেমুখেই অন্তর্ভুক্তির জন্য উপস্থাপিত হয়। ক্লাবটি সম্পূর্ণরূপে ধারণাগত হওয়ায় কোনো আনুষ্ঠানিক সদস্যপদ নেই।

kalerkantho

জিম মরিসন 

টুয়েন্টিসেভেন ক্লাবে এমন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, শিল্পী, অভিনয়শিল্পী এবং ক্রীড়াবিদরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন, যারা তাদের ২৭ বছর বয়সে মাদক ও অ্যালকোহলের অপব্যবহার বা হিংসাত্মক উপায় যেমন- হত্যাকাণ্ড, আত্মহত্যা বা পরিবহন সম্পর্কিত দুর্ঘটনার কারণে মারা গেছেন।

 ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত কয়েক বছর বিশিষ্ট জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের ২৭ বছর বয়সে মারা যাওয়ায় সাধারণভাবে জনমানুষের মনে এই ধারণা উদ্ভূত হয়েছে।

এই 'ক্লাব' একাধিকবার বিভিন্ন সংগীত পত্রিকা, পত্রিকা এবং দৈনিক সংবাদের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই ধারণার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রদর্শনী উদযাপিত হয়েছে : পাশাপাশি উপন্যাস, চলচ্চিত্র এবং মঞ্চনাটকেও এর আবির্ভাব ঘটেছে। অল্প বয়সে মৃত্যুর কারণ এবং তাদের মধ্যে সম্ভাব্য সম্পর্কের কারণে ভিন্ন তত্ত্ব এবং অনুমান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

kalerkantho

লিন্ডা জোন্স

কোবেইন এবং হেন্ডরিক্স জীবনীকার চার্লস আর ক্রস লিখেছেন, '২৭ বছরে যারা মারা গেছেন এমন সংগীতশিল্পীদের সংখ্যা নিঃসন্দেহ সত্যিই লক্ষণীয়।'

কার্ট কোবেইনের মৃত্যুর ১৭ বছর পর ২০১১ সালে মার্কিন জনপ্রিয় পপতারকা এমি ওয়াইনহাউজ মাদকাসক্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে এ ক্লাবটিকে চূড়ান্ত জনপ্রিয়তা দিয়ে যান। এমিও ঠিক যখন খ্যাতির চূড়ায়, তখনই মাদকের সর্বনাশে তিনি ডুবে যান। ২৭ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ক্লাব ২৭-এর তালিকাটাকে আরো বড় করলেন এবং জনপ্রিয় করে গেলেন।

kalerkantho

ওয়াইনহাউজের ভাস্কর্যের সঙ্গে ছবি তুলছেন ভক্তরা 

জন ক্রেইগি তাঁর মন্টানা টেল অ্যালবামের '২৮' শিরোনামের গান এ সম্পর্কে রচিত। এ গানের তিনটি পদ যথাক্রমে জিম মরিসন, জ্যানিস জপলিন এবং কার্ট কোবেইনের মৃত্যু সম্পর্কে নির্দেশ করে। একই ধারণা পাওয়া যায় এরিক বার্ডনের ২০১৩ সালের অ্যালবাম 'টিল ইওর রিভার রান্স ড্রাই অ্যালবামের '২৭ ফরেভার' গানে। লেটলাইভ কর্তৃক তাদের দ্য ব্ল্যাকেস্ট বিউটিফুল অ্যালবামের '২৭ ক্লাব' গানটিও এই ক্লাব থেকেই উদ্ভূত হয়েছে।

২৭ বছর বয়সে অকালেই চলে যাওয়া সংগীতজ্ঞদের তালিকা 
আলেকজান্ডার লেভি
লুইস চাওভিন
রবার্ট জনসন
ন্যাট জাফি
জেসি বেলভিন
রুডি লুইস
জো হেন্ডারসন
ম্যালকম হালে
ডিকি প্রাইড
ব্রায়ান জোন্স
অ্যালেন 'ব্লাইন্ড আউল' উইলসন
জিমি হেন্ডরিক্স
জানিস জোপ্লিন
আর্লেস্টার 'ডাইকি' খ্রিস্টান
জিম মরিসন
লিন্ডা জোন্স
লেসলি হার্ভে
রন 'পিগপেন' ম্যাককার্নেন
রজার লি ডরহম
ওয়ালেস ইয়োন
ডেভ আলেকজান্ডার
পিট হ্যাম
গ্যারি থেইন
সেসিলা
জ্যাকব মিলার
ডি বুন
আলেকজান্ডার বাশলাচেভ
জাঁ-মাইকেল বাসকুয়াত
পিট ডি ফ্রেইতাস
মিয়া জাপাতা
কার্ট কোবেইন
ক্রিস্টেন পাফ
রিচে অ্যাডওয়ার্ড
ফ্যাট প্যাট
ফ্রিকি তাহ
কামি
রড্রিগো বুনো
সিয়ান প্যাট্রিক ম্যাককাব
মারিয়া সেরানো সেরানো
জেরেমি মাইকেল ওয়ার্ড
ব্র্যায়ান অটোসন
ভ্যালেন্টাইন এলিজাল্ডে
সিন ম্যাক কাবে
এমি ওয়াইনহাউজ
রিচার্ড টার্নার
নিকলে বগনার
সোরোষ লিলুশ ফারাজমান্ড
মাঙ্কি ব্ল্যাক

সূত্র : ইন্টারনেট, বিভিন্ন মাধ্যম

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা