আড়াই হাজার বছর ধরে মশা যেভাবে টিকে আছে
আজকের সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২১
মশার নাম শুনেই নিশ্চয় আপনার কানের কাছে মশার বিরক্তিকর শব্দ শুনতে পাচ্ছেন? মশা ছোট্ট নিরীহ দেখতে পতঙ্গ হলেও প্রাণঘাতীও এটি। এর ভয়ে দিন-রাত ঘরে কয়েল বা মশাবিরোধী স্প্রেসহ আনুষঙ্গিক জিনিস ব্যবহার করা হয়। তবুও নাছোড়বান্দা মশা ঘর থেকে তাড়ানো কষ্টকর। ছোট এই পতঙ্গের এক কামড়ে হতে পারে ভয়াবহ সব রোগ। আর এ কারণেই ছোট্ট মশাকে সবার এতো ভয়।
জানেন কি? মশার কিন্তু দিবসও রয়েছে। প্রতিবছর ২০ আগস্ট বিশ্বেজুড়ে পালিত হয় এই দিবসটি। মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে সবার সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও এক বিশেষ সম্মানে পালিত হয় দিবসটি। এই দিবসটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে একজন বিশিষ্ট চিকিৎসকের নাম। তরোনাল্ড রস (১৮৫৭-১৯৩২) নামের এই ব্রিটিশ চিকিৎসককে সম্মান জানাতেই যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন দিবসটি পালনের সূচনা করেছিল। ১৯৩০ সালের শুরু হয় বিশ্ব মশা দিবস পালনের আনুষ্ঠানিকতা। যা দিন দিন বাড়ছে।
রোনাল্ড রস আবিষ্কার করেছিলেন ম্যালেরিয়া রোগের কারণ মশা
রোনাল্ড রসের মহৎ এক কর্মের জন্য ২০ আগস্ট পালিত হয় মশা দিবস। তিনিই ম্যালেরিয়া রোগের কারণ আবিষ্কার করেন। ১৮৯৭ সালের ২০ আগস্ট তিনি এই আবিষ্কারটি করেন। এই আবিষ্কারের জন্য পরবর্তী সময়ে তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। বিশ্বখ্যাত চিকিৎসক রোলান্ড রসের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের আলমোড়া নামের একটি পার্বত্য এলাকায়। মাত্র ৮ বছর বয়সে রোনাল্ড রসকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়। তিনি বরাবরই প্রাণিবিদ্যায় আগ্রহী ছিলেন। পাশাপাশি ছন্দ, সংগীত ও কাব্য নিয়েও তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।
বাবার ইচ্ছায় চিকিৎসক হিসেবে লন্ডনের সেন্ট বার্থলোম্যুর হাসপাতালে যোগ দেন রস। তিনি ১৮৮১ সালে এলএসএ (লিসেনসিয়েট অব দ্য সোসাইটি অব অ্যাপোথেক্যারি) ডিগ্রি অর্জন করে ইন্ডিয়ান মেডিকেল সার্ভিসে যোগ দেন। ভারতে কাজের সময়ই তিনি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি করেন। তার আবিষ্কারের পরও মশাবাহিত নতুন নতুন ভাইরাসের নাম এসেছে। মশাবাহিত রোগে আজও বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটছে। গবেষকেরা বলছেন, প্রতিবছর প্রায় ৮ লাখ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় মশাবাহিত ভাইরাসে।
সব মশা কিন্তু কামড়ায় না, শুধু স্ত্রী মশারাই রক্ত খায়
বিভিন্ন সভ্যতার যেমন ইতিহাস আছে। তেমনি মশারও ইতিহাস আছে। দীর্ঘ ২৫০০ বছর ধরে তারা পৃথিবীর বুকে টিকে আছে। চলুন মশা সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক-
পুরুষ মশা কেবল একদিন বাঁচে। তবে নারী মশা হতে সাবধান। নারী মশা সচরাচর ৬-৮ সপ্তাহ বেঁচে থাকে। আর পুরুষ মশা একদিনের বেশি বাঁচলেও; তাদের পরিস্থিতি একেবারেই নাজুক হয়ে পড়ে। চাইলেই মশাকে পরাস্ত করা যায়। কারণ মশারা খুব দ্রুত গতিতে উড়ে না। সেই সঙ্গে বেশি দূর চলেও যায় না।
মশার ভয়ে কাবু মানুষ এর জন্মলগ্ন আড়াই হাজার বছর আগে থেকেই
মশারা চাইলে সামান্য পানিতেও প্রজনন ঘটাতে পারে। এমনকি টায়ারে কিংবা চায়ের কাপে সামান্য পানি জমলে, সেখানেও ডিম পাড়ে তারা। এ কারণে বাড়ির আশেপাশে পানি জমা থাকলে তা পরিষ্কার রাখুন নিয়মিত। অনেকটা হাস্যকর হলেও সত্যিই যে মশারাও কিন্তু ভয়ে থাকে। কারণ মশা ডিম পাড়ে পানিতে। আর সেই ডিম খায় মাছ। অন্যদিকে বাচ্চা মশা ফড়িংয়ের পছন্দের খাবার। সে কারণে মাছ আর ফড়িং দেখলে মশা ভয়ে থাকে।
কামড় দেওয়ার জন্য মশার কোনো দাঁত নেই। তবে নিজের শুঁড় ব্যবহার করে তারা কামড় দেয়। পুরুষের মতো স্ত্রী মোও গাছের কাণ্ডের রস বা ফুলের মধু পান করে বেঁচে থাকতে পারে। তবে ডিম গঠনের জন্য স্ত্রী মশকীর মানুষের রক্তের প্রয়োজন পড়ে। এ কারণেই তারা কামড়ায়। জীবিত মানুষের রক্ত গরম থাকে কিন্তু মৃত মানুষের রক্ত ঠাণ্ডা। এ কারণে স্ত্রী মশা মৃত মানুষকে কামড়ায় না। মৃত্যুর পর যতক্ষণ লাশের রক্ত গরম থাকে; ততক্ষণ এরা কামড় দেয়। এরা কার্বনডাইঅক্সাইড এর উপস্থিতি নির্ণয় করে মানুষের কাছে যায়।
সব মশা জীবাণু ছড়ায় না
মশার প্রায় সাড়ে ৩ হাজার প্রজাতি আছে। এর মধ্যে অল্প কিছু প্রজাতিই কেবল মানুষসহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীকে কামড়ায়। মশা চোখ দিয়ে কম দেখলেও, গন্ধ শোষণের ক্ষমতা খুব বেশি তাদের। স্ত্রী মশা ১৩৫/১৬০ ফুট দূর থেকে বুজে নিতে পারে কোথায় তার খাবার আছে। কেবলমাত্র স্ত্রী মশাই মানুষকে কামড়ায়। আর পুরুষ সদস্যরা আপনার চারপাশে শব্দ করে যাতে আপনি ব্যতিব্যস্ত থাকেন। অন্যদিকে স্ত্রী মশঅ নির্বিঘ্নে রক্ত শুষে নিতে পারে। একটি মশক সেকেন্ডে প্রায় ৩০০-৬০০ বার ডানা ঝাপটায় পারে। অতি অল্প সময়ে এতবার ডানা ঝাপটানোর কারণেই গুনগুন শব্দ শুনতে পাই আমরা।
এছাড়াও মশার আরো আরো অনেক জানা অজানা তথ্য রয়েছে। এসব আপনাকে শুধু অবাকই করবে না সঙ্গে কিছুটা জ্ঞান আহরণেও সহায়তা করবে। বর্তমানে আমাদের দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রকট আকার ধারণ করেছে। এজন্য বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা খুবই জরুরি। আর সচেতনতা ছাড়া এ থেকে বাঁচার আর কোনো অস্ত্র নেই।
- ইসরায়েলে কী রকম অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান
- হত্যার হুমকির পর এবার সালমানের বাড়ির সামনে গুলি
- উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলি জাহাজ জব্দ করল ইরান
- সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব
- ব্রাজিলিয়ান বিকিনি মডেলের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন আরিয়ান!
- মন্ত্রীর নাতির সঙ্গে মেয়ে জাহ্নবীর প্রেমের কথা স্বীকার করলেন বনি!
- ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী
- পবিত্র কাবা থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার ছাড়াল নামাজের কাতার
- চিকিৎসক হলেন ৩ ফুট উচ্চতার ভারতীয় তরুণ
- রোজা রাখলে শরীরে যা ঘটে
- বই বিক্রির অর্থ মসজিদ নির্মাণে দিলেন সঙ্গীতশিল্পী তাশরিফ
- ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা
- দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ
- বাঙালির হৃদয়কে আবিষ্ট করেছিল ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
- মানুষের অধিকাররক্ষায় কাজকরে র্যাব,তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা গ্রহণ নয়
- রাজনীতি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে মাহি
- ছেলেকে নিয়ে খবর, মেসি বললেন—এটা মিথ্যা
- ৭২ বিজিবি সদস্যকে পদক পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- রমজানে ভোক্তাদের যেন হয়রানি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস এখন অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির আখড়া
- রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার
- আমাদের পুলিশ আরও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
- স্থানীয় সরকারকে আরও শক্তিশালী করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দর এখন অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য
- পাকিস্তানি কায়দায় বারবার সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- অবৈধ মজুদকারীদের গণধোলাই দেয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’
- প্রথমবার সিনেমায় মেহজাবীন
- ভাষাশহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী
- ব্রাজিলিয়ান বিকিনি মডেলের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন আরিয়ান!
- সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব
- পবিত্র কাবা থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার ছাড়াল নামাজের কাতার
- মন্ত্রীর নাতির সঙ্গে মেয়ে জাহ্নবীর প্রেমের কথা স্বীকার করলেন বনি!
- উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলি জাহাজ জব্দ করল ইরান
- হত্যার হুমকির পর এবার সালমানের বাড়ির সামনে গুলি
- ইসরায়েলে কী রকম অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান