• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

বিয়ের আশায় লকডাউনে ৮৫০ কিমি রাস্তা সাইকেলে পাড়ি, অতঃপর…

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২০  

প্রেমে পড়লে মানুষ কত কিছুই না করে! বিয়ে নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও, সাতপাকে বাঁধা পড়ার স্বপ্নও থাকে বেশিরভাগ মানুষের। লকডাউনের আবহেও সেই স্বপ্নকে সত্যি করতে প্রায় ৮৫০ কিলোমিটার রাস্তা সাইকেলে চড়ে পার করার আশায় বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন এক যুবক। যদিও গন্তব্যস্থল থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার আগে পুলিশ তাদের আটক করে। শেষ পর্যন্ত যদিও বিয়ে হয়নি। পরিবর্তে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই থাকতে হবে ওই যুবককে।

টাইলসের কারখানায় কাজ করেন সোনু কুমার চৌহান। পরিবারের লোকজনই তার বিয়ের বন্দোবস্ত করেন। স্থির হয় ১৫ এপ্রিল ভারতের উত্তরপ্রদেশের এক তরুণীর সঙ্গে চার হাত এক হবে সোনুর। বিয়ে বলে কথা! 

কিন্তু আচমকাই লকডাউন। কীভাবে যে সাতপাকে বাঁধা পড়বেন সোনু, সেই ভাবনায় প্রায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে প্রত্যেকের। তবে এক সময়ে সকলেই স্থির করেছিলেন বিয়ে স্থগিত রাখবেন। করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলেই না হয় সারা যাবে শুভ কাজ। কিন্তু বছর চব্বিশের সোনু নাছোড়বান্দা। তিনি স্থির করলেন ৮৫০ কিলোমিটার রাস্তা সাইকেলে চড়ে গিয়ে বিয়ে করবেন। যেমন ভাবনা, তেমনই কাজ। পাঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে সাইকেলে চড়ে বেরিয়ে পড়লেন ওই যুবক। সঙ্গী তিন বন্ধু। কখনও ক্লান্ত হয়েছেন আবার কখনও বা খিদেতে চিনচিন করে উঠেছে পেট। কিন্তু সোনু তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেননি। এভাবেই প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে সাইকেল চালান সোনু এবং তার বন্ধুবান্ধব।

কিন্তু গন্ডগোলটা বাধল রবিবার। মহারাজগঞ্জের পিপরা রসুলপুরের কাছে পুলিশের সোনু-সহ চারজনকে দেখে সন্দেহ করে। তাদের পথ আটকান রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। কী কারণে লকডাউনেও সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন তারা, সেই প্রশ্ন করেন। সোনু উত্তর দেন। 

তিনি জানান, বিয়ের জন্য প্রায় ৮৫০ কিলোমিটার রাস্তা সাইকেলে চড়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন তারা। কিন্তু পুলিশ গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে দেয়নি তাদের। গন্তব্যস্থল থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার আগে আটক করা হয় সোনু ও তার বন্ধুবান্ধবদের।

সোনু বলেন, “বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে তাই যাচ্ছিলাম। যদিও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে একেবারে ছোট করেই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ আমাকে বাড়ি পৌঁছতে দিল না। কি আর করা যাবে! আগে সুস্থ আছি কি না দেখি তারপর না হয় বিয়ে হবে।”

আপাতত ওই যুবকদের বলরামপুরের এক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাদের। সুস্থ থাকলে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে বাড়িতে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা