• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

অতিরিক্ত গতির জন্য নয়, শিবচরের ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা টায়ার ফেটে

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৩  

গত ১৯ মার্চ মাদারীপুরের শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ১৯ জন প্রাণ হারান। এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চালকের গতি, আবহাওয়াসহ নানা কারণ প্রাথমিকভাবে বলা হলেও বাসের চাকা ফেটে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা।

রবিবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক শামসুল হক সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

বুয়েট কাউন্সিল ভবনে এক অনুষ্ঠানে ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তুলে ধরেন অধ্যাপক শামসুল হক। তিনি জানান, অতিরিক্ত গতির কারণে নয়, টায়ার ফেটে ঘটে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের বাস দুর্ঘটনাটি।

দুর্ঘটনার কারণের বাইরেও কেন এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তাৎক্ষণিক কেন এত মানুষ মারা গেলেন- এসব বিষয়ও তুলে ধরেন বুয়েটের এই অধ্যাপক।

দুর্ঘটনার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দুর্ঘটনার স্থানটি নিবিড়ভাবে পরিদর্শন করেছি। সেখানে রাস্তার উপরে টায়ারের কোনো স্কিড মার্ক ছিল না। ফলে এ থেকে স্পষ্ট যে, দুর্ঘটনাটি হঠাৎ করেই হয়েছিল, যা টায়ার ফাটার কারণে হতে পারে। গাড়ির ব্রেকের ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা হয়নি। চালকের ডিউটি রোস্টার অনুযায়ী চালকের যথেষ্ট বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ ছিল। তাই চালকের ক্লান্তি এই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। স্পিড ট্রাকিংয়ের তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে বলা যায় যে, চালক অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালায়নি। এমতাবস্থায় টায়ার ফেটে যাওয়া দুর্ঘটনার সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।

ইমাদ পরিবহনের বাসটির গতির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ইমাদ পরিবহনের স্পিড ডেটা বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, চালক রাস্তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। গাড়ি চালানোর সময় চালক অনেক বেশি মনোযোগী ছিলেন। সর্বোচ্চ গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার হলেও দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি ৭৯ কিলোমিটার বেগে চলছিল। এছাড়া ট্রিপের আগে চালক তিন দিনের ছুটিতে ছিলেন। ফলে তিনি পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেয়েছিলেন। এমনকি খারাপ আবহাওয়ার জন্যও দুর্ঘটনা ঘটেনি।

বহু প্রাণহানির কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসটি এক্সপ্রেসওয়ের কালভার্টের আগে পথচ্যুত হয়। শেষ পর্যন্ত কালভার্টের কংক্রিট উইং দেয়ালের অন্য প্রান্তে ধাক্কা খায়। ফলে বাসের সামনে থাকা চালক, হেলপার, সুপারভাইজার ও সিটের সঙ্গে যাত্রীদের সামনে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা না থাকায় সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায়। তবে বহু প্রাণহানির অন্যতম কারণ হলো, ওই স্থানে কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনি ছিল না।

নিরাপত্তা বেষ্টনি থাকলে বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ত না এতে প্রাণহানি কম হতো বলে মনে করেন এই গবেষণক।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা