সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গে এক জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২

সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ২৮সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬৯৫জন।

করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তি হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাটাখালী গ্রামের মৃত জসিমউদ্দীনের ছেলে নজরুল ইসলাম(৮০)।

সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি সামেক হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এসময় ৭৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

সামকে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বরের পর্যন্ত মোট ৫৩ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ কোন রোগী নেই। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৬ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৮ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন ৮ জন।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে একজন। এ সময় ৭৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের এবং সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১টি নমুনা পরীক্ষা করে কারো করোনা শনাক্ত হয়নি।

তিনি আরো বলেন, ২৮ সেপ্টম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৮৫৩ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৫৮০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ১৩ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ১৮৫ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ১ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ১৮৪ জন। জেলায় ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬৯৫জন।

সিভিল সার্জন আরো জানান, এপর্যন্ত জেলায় ৮৭ হাজার ৮২৬ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮০ হাজার ৬১ জন। এছাড়া সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৮২৯ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩৩৬ জন।