সাতক্ষীরায় হারিয়ে যেতে বসেছে বাবুই পাখি ও তার দৃষ্টি নন্দন বাসা
আজকের সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

দেবহাটায় দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে বাবুই পাখি ও তার দৃষ্টিনন্দন বাসা। এসব বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই ছিল না, মানুষের মনে চিন্তার খোরাক জোগাত এবং আত্মনির্ভরশীল হতে উৎসাহ দিত। কিন্তু কালের বিবর্তনে ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে ক্ষুদ্র প্রজাতির এই পাখি ও তার বাসা আমরা হারাতে বসেছি। দেবহাটা গ্রাম এলাকা সহ দেশের কোথাও বাবুই পাখি ও বাসা দেখা মেলে না। দুই একটি গাছে বাসা থাকলেও তাতে পাখি এখন থাকে না।
অথচ আজ থেকে প্রায় ১৪-১৫ বছর আগেও গ্রাম-গঞ্জের মাঠ-ঘাটের উঁচু তাল গাছে দেখা যেত বাবুই পাখির বাসা। বোঝা যেত বাবুই পাখির অস্তিত্ব। ‘বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই, কুড়েঘরে থেকে করো শিল্পের বড়াই। আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকার পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে’ কবি রজনীকান্ত সেনের এই অমর কবিতাটি এখন শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের কবিতা পড়েই এখনকার শিক্ষার্থীরা বাবুই পাখির শিল্প নিপুণতার কথা জানতে পারে। এখন আর চোখে পড়ে না বাবুই পাখি ও তার তৈরি দৃষ্টিনন্দন সেই ঝুলন্ত বাসা। এক সময় গ্রাম-গঞ্জের তাল, নারিকেল ও খেজুর গাছে এরা বাসা বেধে থাকতো। তবে তাল গাছে বাবুই পাখির বাসা বাধা বেশি পছন্দ ছিল। তালগাছ মানেই ছিল বাবুই পাখির বাসা। আগে কোন তালগাছ ছিল না যাতে পাখির বাসা ছিল না।
নাড়া পল, তালপাতা, ঝাউ ও কাশ বনের লতাপাতা দিয়ে বাবুই পাখি বেশির ভাগই উঁচু তালগাছে বাসা বাধত। সেই বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি মজবুত। প্রবল ঝড়েও তাদের বাসা পড়ে যেত না। বাবুই পাখির শক্ত বুননের এ বাসাটি শিল্পের এক অনন্য সৃষ্টি যা টেনেও ছেঁড়া সম্ভব নয়। প্রবীণদের মুখে শোনা যায় নারিকেল, তাল, খেজুর, কাশ ও আখ সহ প্রভৃতির গাছের পাতা এবং লম্বা ঘাস মুখে করে এনে একটি গাছে তিন প্রকারের বাসা নির্মাণ করতো বাবুই পাখি।
এর মধ্যে একটি বসবাসের জন্যে একটি ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটানোর জন্যে এবং একটি খাবার সংগ্রহ করে রাখার জন্যে। বাসা নির্মাণের জন্য তারা সাধারণত তালগাছকে বেছে নিতো। কারণ অন্যান্য গাছের ডালপালা ঝড়ে ভাঙার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু তালগাছের ডালপালা না থাকায় ভাঙার সম্ভাবনা কম, এক্ষেত্রেও বাবুই পাখির চরম বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। এরপর নারিকেল, সুপারি ও খেজুর গাছ। এরা নাড়া পল, ধানের পাতা, তালের কচি পাতা, ঝাউ ও কাশ বন দিয়ে বাসা বাধে।
বাসার গঠনও বেশ জটিল, তবে আকৃতি খুব সুন্দর। শুরুতে বাসায় দুটি নিম্নমুখী গর্ত রাখত। অর্ধেক বাসা বাধার পর তার সঙ্গীকে খুঁজত। স্ত্রী বাবুইটির পছন্দ হলে মাত্র চার দিনে বাসা বাধার কাজ শেষ করে ফেলত। বাসার নীচের দিকে একটি গর্ত বন্ধ করে ডিম রাখার জায়গা করে নিত। অন্যটি খোলা রাখত প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য। বাসার ভেতরে-বাইরে কাদা লাগিয়ে রাখত। ফলে প্রবল ঝড়ে বা বাতাসেও টিকে থাকত বাসা। রাতে বাসা আলোকিত করার জন্য জোনাকি পোকা ধরে এনে রাখত। দেবহাটার কাজী মোল্লা গ্রামের এক কৃষক ওমর আলী বলেন, বাবুই পাখির বাসাটি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। ছোটবেলায় দেখতাম রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছগুলোর মধ্যে অনেক বাবুই পাখির বাসা ছিল। তাদের কিচিরমিচির শব্দে সকালবেলা আমাদের ঘুম ভাঙত। সন্ধ্যা হলে তাদের বাসাই ফেরার দৃশ্য ছিল দেখার মত। কিচিরমিচির শব্দে সন্ধ্যাটা যেন এক অপরুপ মনোরম দৃশ্যে পরিণত হত। কিন্তু আমাদের পুরো এলাকা জুড়ে কোথাও আর বাবুই পাখি সহ তার দৃষ্টিনন্দন বাসা দেখা যায় না। বাবুই পাখি ও তার দৃষ্টিনন্দন বাসার বিলুপ্তির ব্যাপারে দেবহাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মোঃ তিতুমীর বলেন, একসময় বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে সারি সারি উঁচু তালগাছে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা দেখা যেত। এখন তা আর সচরাচর চোখে পড়ে না।
তালগাছ দীর্ঘমেয়াদি গাছ। তাই বাণিজ্যিকভাবে তালগাছের আবাদ হয় না। গ্রাম-গঞ্জ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে তালগাছ। এর সাথে সাথে বাবুই এখন বাসা বাধারও জায়গা পায় না। তারপর মানুষ জঙ্গল পরিষ্কার করে সেখানে গড়ে তুলছে অট্টালিকা। তাছাড়া প্রকৃতি থেকে তালগাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বাসা তৈরি করতে পারছে না পাখিরা। আর এই কারণে প্রজননও করতে পারছে না তারা। এখন কৃষকরা ক্ষেতে ও বীজতলায় কীটনাশক ব্যবহার করায় বাবুই পাখি মারা যায়। বংশ রক্ষার্থে তারা এলাকা ত্যাগ করেছে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বাবুই পাখির বংশ বিস্তারে তাল, খেজুর ও নারকেল গাছ রোপণ করতে হবে। সেই সাথে কীটনাশকের অপব্যবহার রোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রকৃতির এই নিপুণ কারিগরকে বাচাতে উদ্যোগ নিতে হবে আমাদেরই।

- মুশতাকের মৃত্যুতে কারা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি পায়নি তদন্ত কমিটি
- কলার থোড়-এর বিভিন্ন উপকারীতা ও গুণাবলি
- ৫০ বছরের গবেষণায়ও সেরা হবে যে ৪ উপদেশ
- সৌভাগ্যে ভর করে ফাইনালে বার্সেলোনা
- বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ : প্রধানমন্ত্রী
- এইচ টি ইমামকে দাফন করা হবে বনানীতে
- জয়শঙ্কর ঢাকায় আসছেন আজ
- কাঠ বাদাম ব্যবহার করে ঘাড়ের কালো দাগ দূর করার উপায়
- মুমূর্ষু ব্যক্তির পাশে স্বজনদের কালেমা পড়ার নিয়ম
- বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট লড়াই শুক্রবার
- এই দিনে রেডিও পাকিস্তানের নাম বদলে রাখা হয় ‘ঢাকা বেতারকেন্দ্র’
- ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর
- দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করছে: প্রধানমন্ত্রী
- শসা দিয়ে চোখ চুলকানো সমস্যা নিরাময়ের উপায়
- নামের শেষে ‘রাহিমাহুল্লাহ-হাফিজাহুল্লাহ’ ব্যবহার করা যাবে কি?
- আইপিএল নিয়ে যে মন্তব্য করে ক্ষমা চাইলেন ডেল স্টেইন
- বিমানের বহরে যোগ হচ্ছে ‘শ্বেতবলাকা’
- অগ্নিঝরা মার্চ: ৪ মার্চ, ১৯৭১
- এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
- লেটুস পাতার উপকারিতা
- আল্লাহর সন্তুষ্টি পাবে যে হৃদয়
- ফাইনালে বার্সেলোনা
- করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসায় বিমসটেক সেক্রেটারি
- বাংলাদেশের প্রশাসন গড়ে উঠেছিল যার হাত দিয়ে
- নিউজউইকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নিয়ে জয়ের নিবন্ধ
- টেকনাফ সীমান্ত সড়কে বসছে ডিজিটাল ডিভাইস
- হল খুলতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পাবে ৫০ কোটি টাকা
- খাদ্য বাসস্থান ও টিকাকে প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী
- বিতর্কিত ধারাগুলোকেও জামিনযোগ্য করার চিন্তা
- ২৬ মার্চ ঢাকা-জলপাইগুড়ি ট্রেন উদ্বোধন করবেন হাসিনা-মোদি
- তামিমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- মেগা প্রকল্প:
রাত-দিন চলছে কাজ, মেট্রোরেলের লাইন বসেছে ৭ কিলোমিটার - মাছে বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্য
- ভেজাল ও বিষাক্ত মদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান
- বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে মানবদেহের প্লাজমা প্ল্যান্ট নির্মাণ শুরু
- বাংলা ভাষার জন্যই আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি
- আইসিটির বৈশ্বিক সূচকে অগ্রগতি বাংলাদেশের
- উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে: ইসি সচিব
- ছেলেবেলা থেকেই সন্তানকে যে শিক্ষাগুলো দেয়া জরুরি
- জুনেই চালু পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল
- আসছে তাৎক্ষণিকভাবে ভোটার হওয়ার সুযোগ
- ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সঙ্গে কোপা আমেরিকা খেলবে ভারত!
- ২৬ হাজার স্কুল গেজেটভুক্তির সুপারিশ
- বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আন্তঃসংযোগ বাড়াতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
- ভাগ্য বদলেছে কৃষকের
- অল্প আমলে সওয়াব বেশি
- মুজিববর্ষে অনন্য মাইলফলকে দেশ
- আগামী বছর জুনে পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে :কাদের
- পুলিশ অন্যায় করলে রিপোর্ট করবেন, মিথ্যা লিখবেন না: আইজিপি
- মে মাসে বড় পরিসরে ইউপি নির্বাচন : সিইসি
